পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে যে দল পরাজিত হবে তারা হয়তো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন বাস্তবতায় দাঁড়িয়েছে। এজন্য দেশের রাজনৈতিক নেতারাই দায়ি। গতকাল জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের সরকার পরিবর্তন হয় আবার শান্তিপূর্ণভাবে সরকার গঠন হয়। আবার সরকারের কেউ পদত্যাগ করলে, শান্তিপূর্ণ ভোটের মাধ্যমে তা পূরণ হয়। কিন্তু আমাদের দেশের বাস্তবতা ভিন্ন করা হয়েছে। এখানে নির্বাচন যেন যুদ্ধ, নির্বাচনে পরাজিত হলে তাকে মরতে হবে। এমন বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়নি। এমন বাংলাদেশের জন্য বীর শহীদরা আত্মত্যাগ করেননি।
এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, জনগনের কাছ থেকে দেশের মালিকানা ছিনতাই হয়ে গেছে। দেশের প্রকৃত মালিক হচ্ছেন জনগণ, তারা যাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন তারাই জনগণের মতামতের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করবেন। কিন্তু এখন দেশের মালিকানা সাধারণ মানুষের কাছে নেই। দেশের সাধারণ মানুষ যেন আবার ঊপনিবেশিক আমলের ন্যয় প্রজা হয়ে গেছেন। তিনি বলেন, বৃটিশ ও পাকিস্তানী শোষণ থেকে মুক্তি পেতে একটি দেশের জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিলো। লাখো বীর শহীদের জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের একটি দেশ অর্জন করেছিল। সংবিধান অনুযায়ী দেশের মালিক হচ্ছেন জনসাধারণ।
জিএম কাদের বলেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার বাস্তবতা অনেকটাই এক। শ্রীলংকায় দশ বছর গৃহযুদ্ধ চলেছে, সেখানে কোন পর্যটক যায়নি কিন্তু দেশটি দেউলিয়া হয়নি। জবাবদিহিতাহীণ সরকারের গোয়ার্তুমীর ফলে অর্থনৈতিকভাবে অকার্যকর ও অপরিকল্পিত মেগা প্রকল্প গ্রহণ ও সে জন্য গৃহিত সুদসহ বিদেশী ঋণ পরিশোধ করতে গিয়েই শ্রীলংকা দেউলিয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সাথে এর কিছুটা মিল রয়েছে। অভিযোগ আছে লুটপাটের কারনে, মেগা প্রকল্পগুলোতে অনেক বেশি ব্যায় হয়। ফলে, ঐ প্রকল্পের আয় দিয়ে ঋণ শোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে।
কিন্তু যখন সুদসহ ঋণ পরিশোধ করতে হবে, তখন দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ পেতে পারে এমন আশংকা বিশেষজ্ঞদের।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, জহিরুল ইসলাম জহির, মহা: জহিরুল আলম রুবেল প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।