পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর পীর সাহেব চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মো: রেজাউল করীম মিয়ানমারের বিপদগ্রস্ত রোহিঙ্গা জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। চরমোনাই দরবার শরিফের অগ্রহায়ণ মাসের ৩ দিনব্যপী বার্ষিক ওয়াজ মাহফিরের দ্বিতীয় দিনে ওলামা সুধী সম্মেলনে বক্তব্যে গতকাল তিনি প্রশ্ন তোলেন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের জুলুমের ব্যাপারে জাতিসংঘ, ওআইসি, আরব লীগসহ মানবাধিকার সংগঠন নিশ্চুপ কেন? তিনি মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষায় মুসলিম জাতিসংঘ গঠনের পক্ষে ঐক্যমত পোষণ করেন। পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে এসব নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবং আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি। তিনি বলেন, আপনারা যদি শরণার্থীর চাপ সামলাতে ভয় পান, তাহলে আমরা আশ্বাস দিচ্ছি এদেশের মানবতাবাদী মানুষের সহায়তায় এসব শরণার্থীর ভরণপোষণের ব্যবস্থা করতে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে। আগামী ৫ ডিসেম্বর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মিয়ানমার দূতাবাস অভিমুখে মিছিলে যোগ দিতে সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে উপস্থিত হতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের দারুল উলূম দেওবন্দের সিনিয়র মুহাদ্দিস বিশ্বখ্যাত আলেমে দ্বীন আল্লামা মোজ্জাম্মেল বাদাউনি। বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিনসহ অন্যান্যরা। ৩ দিনব্যাপী মাহফিলে প্রতিদিন ফজর ও মাগরীবের নামাজের পর পীর সাহেব-এর বয়ান ছাড়াও দেশবরেণ্য ওলামায়ে-কেরাম বয়ান করছেন। আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকালে আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মাহফিল শেষ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।