Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আমন চালের সংগ্রহমূল্য এবার ৩৩ টাকা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সরকার এবার ৩৩ টাকা দরে আমন ধানের প্রতি কেজি চাল কিনবে। এই দামে এবার তিন লাখ মেট্রিক টন চাল কেনা হবে। গতকাল রোববার সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
 আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে পরের বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত সরকার তিন লাখ মেট্রিক টন আমন চাল সংগ্রহ করবে। গত বছর সরকার ৩১ টাকা কেজিতে দুই লাখ টন চাল কিনেছিল। এবার এক লাখ টন বেশি চাল কিনবে সরকার। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এবার কেজিপ্রতি আমন ধানের উৎপাদন খরচ পড়েছে ১৯ টাকা, প্রতিকেজি চালের উৎপাদন খরচ হয়েছে ২৯ টাকা। এবার আমন চাল ৩৩ টাকা করে সংগ্রহ করব। গত বছর প্রতি কেজি আমন ধান উৎপাদনে সাড়ে ১৮ টাকা এবং চাল উৎপাদনে সাড়ে ২৮ টাকা ব্যয় হওয়ায় ৩১ টাকা কেজি দরে চাল কেনা হয়েছিল।
সরকারের নির্দেশনার পরও অটোমেটিক বা সেমি-অটোমেটিক মিলে রূপান্তরিত না করায় এবারই শেষবারের মতো হাসকিং মিল থেকে চাল কেনা হবে বলে জানান কামরুল। হাসকিং মিলগুলোকে অটোমেটিক মিলে রূপান্তর করতে বারবার নির্দেশনা দিলেও তারা তা করেনি, সেমি-অটোমেটিক মিলেও রূপান্তর করেনি। ২০১৪ পর্যন্ত শেষ সময় ছিল, পরে ২০১৫ পর্যন্ত সময় নেয়। এখনো অধিকাংশ হাসকিং মিল সেমি-অটোমিলে রূপান্তরিত হয়নি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এবারই হাসকিন মিল থেকে শেষবারের মতো চাল কেনা হবে। আগামী বোরো মৌসুম থেকে আমরা কোনো হাসকিং মিলের সাথে চাল কেনার চুক্তি করব না, এটা ফাইনাল সিদ্ধান্ত।
গত বছরের এই সময়ে দেশে ১৫ লাখ টনের বেশি খাদ্যশষ্য মজুদ থাকলেও বর্তমানে আছে আট লাখ টনের মতো। তবে এই পরিমাণকেও ‘সন্তোষজনক’ বলেছেন খাদ্যমন্ত্রী। গতবার আমাদের অস্বাভাবিক মজুদ ছিল। এখন যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই মজুদ আছে। টিআর-কাবিখা এখন টিআর-কাবিটায় রূপান্তরিত হয়েছে। সেখানে আট লাখ টনে কিন্তু আমাদের চলে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে যে মজুদ আছে তা সন্তোষজনক, মজুদ কম নাই।
চালের মজুদের কারণে হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকায় চাল বিতরণ কর্মসূচিতে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, সেখানে সাড়ে ৭ লাখ টন চাল লাগবে, তবে সেটা একসাথে লাগবে না। ফলে চাল সংগ্রহ হবে এবং বেরও হবে। হিসাব করে গোডাউনে চাল রাখতে হবে। মজুদ কম বলে যারা বিরূপ মন্তব্য করেন তারা সঠিক বলেন না। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ছাড়াও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ