পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী

ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল নদীবন্দরের আধুনিকায়ণকৃত টার্মিনালে এখনো রাষ্ট্রীয় জাহাজ চলাচল প্রতিষ্ঠান বিআইডব্লিউটিসির নৌযান ভিড়া ও ছাড়ায় অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ শেষে ২০১২ সালের মার্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বরিশাল নদীবন্দরে আধুনিকায়ণকৃত টার্মিনাল উদ্বোধন করেন। তবে সেখানে সরকারি নৌযান ও এর যাত্রীরা অনেকটাই অবাঞ্ছিত। অথচ এ বন্দর ব্যবহারকারী সব যাত্রীদের জন্যই রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ১৭ কোটি টাকা ব্যায় হয়েছে। বিশাল টার্মিনাল ভবন ছাড়াও বন্দরটিতে ১২০ ফুট দৈর্ঘের ছয়টি পন্টুনও স্থাপন করা হয়।
শুরুতে বিআইডব্লিউটিসির সদর দফতরের উদাসীনতার সুযোগে স্থানীয় বাণিজ্য কর্মকর্তারা আধুনিক টার্মিনালের পরিবর্তে অদূরে নিজস্ব ঘাট থেকেই সংস্থার নৌযানগুলো পরিচালনে আগ্রহী ছিল। তবে বিভিন্ন সময়ে যাত্রীদের তরফ থেকে অভিযোগ ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক দফায় সংস্থাটির শীর্ষ মহল থেকে চাপের প্রেক্ষিতে স্থানীয় কর্তারা নড়েচড়ে বসেন। কয়েক দফায় এ টার্মিনালে সংস্থাটির রকেট স্টিমার ভিড়া ও ছাড়ার ব্যবস্থাও হয়। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উচ্চপর্যায় থেকে বিষয়টির প্রতি নজরদারি হ্রাসের সাথে স্থানীয় বাণিজ্য কর্মকর্তারাও সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তাদের নৌযান নিজস্ব ঘাটে নিয়ে যান। অথচ সে ঘাটে যথেষ্ট দুর্ভোগ ও ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের ওঠা-নামা করতে হচ্ছে।
তবে গত বছরের শেষ দিকে বিআইডব্লিউটিসির বরিশাল প্রান্তিকে নতুন বাণিজ্য কর্মকতা দায়িত্ব গ্রহণের পরে তিনি বিআইডব্লিউটিএর সাথে আলাপ আলোচনা করে রকেট স্টিমার নতুন টার্মিনালে ভিড়ানোর ব্যবস্থা করেন। কিন্তু বিগত ঈদ উল ফিতরের সময় বাড়তি বেসরকারি নৌযান টার্মিনাল ব্যবহার করতে দিতে গিয়ে বিআইডব্লিউটিসির রকেট স্টিমারকে পুনরায় পুরনো স্টিমার ঘাটে সরিয়ে নেয়া হয়। ফলে ঈদের ভিড়সহ পরবর্তী সময়েও সরকারি ওই প্রতিষ্ঠানটির নৌযানের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এমনকি এতে করে সংস্থাটির নৌযানে বরিশাল থেকে যাত্রী ভ্রমণের হারও হ্রাস পেয়েছে যথেষ্ট। ঈদ উল ফিতরের পরে ঈদ উল আজহার ভিড় ও বাড়তি নৌযানরে চাপ হ্রাস পেলেও বিআইডব্লিউটিএ রাষ্ট্রীয় নৌ-নৌযানকে মূল টার্মিনালে ভিড়তে দিতে পারেনি। বর্তমান ব্যবস্থায় বেসরকারি একতলা ও দোতালা নৌযানগুলোকে কিছুটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে পারলেই বিদ্যমান পন্টুনসমূহের দক্ষিণ প্রান্তেই রকেট স্টিমারসমূহ পরিচালনা সম্ভব বলে দাবি বিআইডব্লিউটিসির দায়িত্বশীল মহলের।
তবে বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল ও ঢাকার দায়িত্বশীল মহল থেকে জানান হয়েছে, ‘বিদ্যমান টার্মিনালসমূহের দক্ষিণ পাশে আরো একটি নতুন পন্টুন স্থাপন করে রকেট স্টিমাকে পরিচালনের সিদ্ধান্ত রয়েছে কর্তৃপক্ষের। কিন্তু একটি বিশেষ মহলের স্বার্থ রক্ষায় প্রশাসনের তরফ থেকে সে পন্টুন স্থাপনে ক্রমাগত বাধা প্রদান করায় সরকারি এ উন্নয়নমূলক কাজটি সম্ভব হচ্ছে না’। মাসের পর মাস রকেট স্টিমারের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগকে মাথায় করেই প্রতিষ্ঠানটির নৌযানে আরোহণ করছেন। প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হস্তক্ষেপে বরিশাল নদীবন্দরে নতুন পন্টুন স্থাপনের বিষয়টি বন্ধ থাকলেও বিষয়টি নিয়ে বরিশালের জেলা প্রশাসন মুখ খুলতে নারাজ। বিআইডবিব্লউটিএর দায়িত্বশীল মহল জানিয়েছে, আমাদের সব প্রস্তুতি গ্রহণের পরও পন্টুন স্থাপনের বিষয়টি স্থবির হয়ে আছে।
এ ব্যাপারে গতকাল বিআইডব্লিটিসির জিএম-বাণিজ্য নুরুল আলমের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে বিআইডব্লিউটিএর সাথে নতুন করে যোগাযোগ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।