Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শাটল ট্রেনের হোস পাইপ কর্তন গাড়ি ভাঙচুর

চবিতে ছাত্রলীগের একাংশের অবরোধ

চবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা লাগাতার অবরোধের গতকাল প্রথম দিনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা নেমে আসে। অবরোধকারীদের বাধার মুখে বিশ্ববিদ্যালয়গামী কোন শাটল ট্রেন চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়নি। পিকেটাররা দু’টি অটোরিকশা ভাঙচুর করেছে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ পাঁচ দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেয়া হয়। অবরোধের শুরুতে শাটল ট্রেনের হোস পাইপ কেটে দেয় আন্দোলনকারীরা। এর ফলে সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী কোনো শাটল ট্রেনই নগর থেকে ছেড়ে যেতে পারেনি। পাশাপাশি অবরোধের সমর্থনে ক্যাম্পাসে একটি সিএনজি অটোরিকশা ও দুইটি ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাঙচুর করেছে অবরোধকারীরা। অবরোধের সমর্থনে আন্দোলকারীরা ষোলশহর স্টেশনে মিছিল করে। সেখানে শাটল ট্রেনের হোস পাইপ কেটে দেয়া হয়। ফলে ষোলশহর স্টেশন থেকে কোনো শাটল ট্রেন ছেড়ে যায়নি বলে জানিয়েছেন ষোলশহর স্টেশন মাস্টার শাহাবুদ্দিন। শাহাবুদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে আন্দোলনকারীরা শাটল ট্রেনের হোস পাইপ কেটে দেয়। ফলে স্টেশন ছেড়ে যায়নি কোনো শাটল ট্রেন। আন্দোলন না থামলে শাটল ট্রেন চালানো সম্ভব না। অবরোধের মুখে শিক্ষক বাস চলাচলও ব্যাহত হয়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, একইদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কাটা পাহাড় এলাকায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ‘দিয়াজ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চাই’ এমন শ্লোগান দেয় একদল শিক্ষার্থী। এসময় একটি সিএনজি অটোরিকশা ও দুইটি ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাঙচুর করে দ্রুত সরে পড়ে আন্দোলনকারীরা। এসময় সিএনজি অটোরিকশার চালককে মারধরও করে তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর হেলাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে সিএনজি অটোরিকশার ওই চালককে উদ্ধার করা হয়।
আন্দোলনকারীদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হল, দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আদালতের নির্দেশে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ, তদন্তের স্বার্থে প্রক্টরিয়াল বডি থেকে সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেনকে অপসারণ, সকল আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, পূর্বের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বাতিল করে স্বচ্ছতার সঙ্গে নতুন ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেশ এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
গত ২০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নম্বর ফটক এলাকার নিজ বাসায় ঝুলন্ত অবস্থায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার দু’দিন পর ২৩ নভেম্বর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয় ‘আত্মহত্যা’র ফলে শ্বাসরোধ হয়ে দিয়াজের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরিবার এ প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে দাবি করে আসছিল দিয়াজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার লাশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে ২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদী হয়ে চট্টগ্রামের আদালতে ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আসামিদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুর নামও রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ