পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গ্রুপ তৈরি করে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামমৃত সংঘ- ইসকনের বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচারের’ অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় প্রবর্তক সংঘের পাঁচজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জহিরুল কবির এই আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শুভাশীষ শর্মা। তিনি ইনকিলাবকে বলেন, সমন পেয়ে তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। তবে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
তারা হলেন- নগরীর কাজির দেউড়ীর ভিআইপি টাওয়ার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রবীবর কান্তি চৌধুরী ওরফে সঞ্জয় চৌধুরী, বেসরকারি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুজন বিশ্বাস, সুভাষ মুহুরী, সদীপ দে ও সুশীল দে টিটু। প্রবর্তক সংঘের সাধারণ সম্পাদক তিনকড়ি চক্রবর্তী জানান, ওই পাঁচ জনের মধ্যে দুইজন প্রবর্তক সংঘের আজীবন সদস্য এবং তিনজন সাবেক ছাত্র। তাদের মধ্যে দুইজন বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাদের মুক্ত করতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান তিনি।
বাদিপক্ষের আইনজীবী জানান, আসামীরা নিজের ফেসবুক এবং প্রবর্তক সংঘ বাঁচাও নামে একটি ফেসবুকে ইসকন ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে কটুক্তি, মানহানিকর বক্তব্য এবং উসকানি প্রদান করেন। যা ইসকনের ভক্তসহ সকল সনাতনীদের হৃদয়ে আঘাত করে। এ ঘটনায় ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট ইসকনের পক্ষে নন্দনকানন রাধামাধব ও গৌর নিতাই মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তারননিত্যানন্দ দাস ব্রহ্মচারী বাদী হয়ে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলা গ্রহণ করে কাউন্টার টেররিজমকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা গত ২৫ এপ্রিল আদালতে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের করেন। এরপর আদালত তাদের সমন জারি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।