Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সঙ্কট শ্রীলঙ্কার চেয়ে কম নয় : ড. মোশাররফ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০২২, ১২:০২ এএম

বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট শ্রীলঙ্কার চেয়ে কম নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট শ্রীলঙ্কার চেয়ে কম নয়। শ্রীলঙ্কার মতো মেগা প্রজেক্ট (বড় প্রকল্প) করে বাংলাদেশ মেগা লুটপাট চলছে। সেই মেগা দুর্নীতিকে হালাল করার জন্য ঢাকঢোল পিটিয়ে মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশে রিজার্ভ কত আছে, তা মানুষ জানতে পারছে না। রিজার্ভ থেকে ঋণ নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। বাংলাদেশ রিজার্ভ থেকে ঋণ নিয়ে দেশ চালাচ্ছে। মেগা প্রজেক্টে তারা তাদের দেনা পরিশোধ করছে। কিন্তু সেটা হিসাবে আনা হচ্ছে না। এটাকে রিজার্ভ দেখিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে হিসাব মিলিয়ে দিচ্ছে। তারপর এখন অঙ্ক মিলাতে পারছে না। যদি তাদের রিজার্ভের গল্প সত্য হয়ে থাকে, তাহলে কেন লিকুইড গ্যাস আনতে পারছে না? কেন ব্যাংকগুলোয় এলসি করতে গেলে এলসি করতে পারছে না?

তিনি বলেন, সরকার মানুষকে না জানিয়ে উচ্চসুদে ঋণ নিয়েছে শুধু নিজস্ব স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য। ঋণ পরিশোধের সময় এসে গেছে এবং তখনই ধরা পড়ে যাবে, সরকার ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না। একদিকে ঋণ দিতে পারছে না, অন্যদিকে আমদানি করতে পারছে না।

প্রফেসর এমাজউদ্দীনকে স্মরণ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, প্রফেসর এমাজউদ্দীনকে হারিয়ে গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক ও জাতীয়তাবাদী শক্তি তাদের অভিভাবককে হারিয়েছে।

দেশে বৈষম্য আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের যে আকাক্সক্ষা ছিল গণতন্ত্রের, সেই গণতন্ত্র আজ দেশে নেই। যে মূল আকাক্সক্ষা ছিল সাম্যের, সেখানে অর্থনৈতিক অসাম্য-বৈষম্য এত বেশি যে বাংলাদেশে ধনী ও গরিবের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আজ বাংলাদেশে শুধু লুটপাটের রাজনীতির জন্য আমাদের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি একটা বিপর্যয়ের মুখে। কেন? এই বাংলাদেশে যারা ক্ষমতায়, তারা যেহেতু গণতান্ত্রিক নয়, তারা যেহেতু গায়ের জোরে ক্ষমতায়, দিনের ভোট রাতে করার সরকার, তাদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর ও অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সত্যিকার বুদ্ধিজীবী হওয়া কঠিন কাজ। ভেতর থেকে যাঁরা সমাজের জন্য দায় দায়িত্ব অনুভব করবেন, তাঁরাই হচ্ছেন বুদ্ধিজীবী। বিএনপি কোনো দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনে যাবে না।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকার বিদ্যুৎ উৎসব করে বলে, লোডশেডিংকে আমরা জাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন জাদুঘরে যাওয়ার সময় এসেছে তার (সরকারের)। সরকার একটার পর একটা মিথ্যা কথা বলে চলেছে, এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলার এখনই সময়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘রাষ্ট্র বলে আসলে কিছু নেই। যে রাষ্ট্র প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদকে মিথ্যা মামলা দিতে পারে, সে রকম একটা রাষ্ট্রে আমরা বসবাস করছি। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ