পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ‘প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ উন্নতির দিকে এগোচ্ছে। তাতে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত খুশি। ধর্মীয় উন্মাদনা, কট্টরপন্থী, সঙ্কীর্ণতাকে পেছনে ফেলে ধর্মনিরপেক্ষতা, আধুনিকীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক উন্নয়নসহ অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ অভূতপূর্ণ উন্নতির মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন বিশ্বের যে কোন দেশের কাছে আদর্শ উদাহরণ হতে পারে’। গতকাল শুক্রবার কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্সে অত্যাধুনিক রণতরীর উদ্বোধন করে একথা বলেন তিনি। এদিন থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীতে যুক্ত হল স্টিলথ যুদ্ধযান ‘আইএনএস দুনাগিরি’।
যুগ যুগ ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধজাহাজ তৈরি করে আসছে কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো স্টিলথ ‘আইএনএস দুনাগিরি’।
রাজনাথ সিং গতকাল পাকিস্তানের নাম না নিয়ে বলেন, আমাদের আরো একটি প্রতিবেশি রাষ্ট্র আছে, যারা ধর্মান্ধতা, কট্টরপন্থী, সংকীর্ণতা, দরিদ্রতা, সন্ত্রাসবাদের কারণে নিজেরাই নানা সমস্যা ভুগছে। পাশাপাশি ভারতেও সমস্যা সৃষ্টি করছে। তাদের বাংলাদেশ থেকে অনেক শেখার আছে। বাংলাদেশ থেকে শিখে নিজেদের আত্মবিশ্লেষণ করা উচিত। বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত যে উন্নয়ন করছে তা ওদের শেখা উচিত।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে উন্নতি করে চলেছে তাতে আগামীতে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাজনাথ সিং।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনৈতিক, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা বিষয়ে ভারত সর্বদা বাংলাদেশের পাশে আছে। ভারত উত্তরোত্তর যে শক্তি বাড়াচ্ছে, তা শুধু নিজেদের জন্য নয়, মিত্র রাষ্ট্রদের জন্যও এই শক্তি সঞ্চয় করছে।
শ্রীলঙ্কার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের আরো এক মিত্ররাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা, যাকে ভারত সহযোগিতা করছে। একইভাবে করোনা মহমারির সময় নেপাল, মালদ্বীপসহ বিভিন্ন দেশে ওষুধ ও মেডিক্যাল সরঞ্জাম দিয়ে ভারত সহযোগিতা করে আসছে।
এদিন কলকাতায় যে রণতরীর উদ্বোধন হলো তার মূল বিশেষত্ব হল, সমুদ্রে আড়াল খুঁজে নিতে পারে। শত্রুর রাডারে ধরা পড়বে না। আড়ালে থেকে শত্রুর রণতরীকে ধ্বংস করতে সক্ষম দুনাগিরি। পি-১৭ এ শিবালিক ক্লাসের স্টিল ফ্রিগেট (ছোট রণতরী) হল আইএনএস দুনাগিরি। এই রণতরীর ওজন প্রায় ৬,৬০০ টন। প্রসঙ্গত, আইএনএস দুনাগিরি নামে একটি রণতরী ভারতীয় নৌসেনায় ১৯৭৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ছিল। ৩৩ বছর পর অবসর যাওয়া সেই রণতরীর নামেই স্টিলথ ফ্রিগেটর তৈরি করেছে কলকাতার গার্ডেনিরিচ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।