পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘ঋণের দায় বাংলাদেশ দেউলিয়া হতে পারে’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের। তিনি বলেছেন, দেশের ঋণের পরিমাণ ১৬ লাখ কোটি টাকা। আগামীতে সুদসহ এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। তখন দেশের অবস্থা ভয়াবহ হতে পারে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর জুরাইন রেলগেটে শ্যামপুর-কদমতলী থানা জাতীয় পার্টি আয়োজিত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্মরণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার মধ্যে অনেক মিল। করোনাকালে পর্যটন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শ্রীলঙ্কার। আবার ১০ বছর গৃহযুদ্ধ করেও দেউলিয়া হয়নি শ্রীলংকা। শুধু ঋণের বোঝা টানতে গিয়ে দেউলিয়া হয়েছে দেশটি। আবার শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে একই রাজনৈতিক বাস্তবতা। আর এ কারণেই শ্রীলঙ্কার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে বাংলাদেশে। দুটি দেশেই কোথাও জবাবদিহিতা নেই।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এমন দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। দেশের জন্য রাজা পেতে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদরা জীবন দেননি। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে জনগণের প্রতিনিধি পেতে। কিন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা প্রতিনিধি পাইনি, পেয়েছি জনগণের রাজা।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ঋণনির্ভর বাজেট হয়েছে। বাজেটে খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ও বেকারত্ব কমাতে কোনো বরাদ্দ নেই। গেলো বছরও লক্ষ্য অনুযায়ী ট্যাক্স আদায় হয়নি। এবার লক্ষমাত্রা অনুযায়ী ট্যাক্স আদায় না হলে ঋণ করে কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা দিতে হবে। ব্যাংকগুলোতে টাকা থাকবে না। ভয়াবহ অবস্থার দিকে যাচ্ছে দেশ। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলছে। সরকারের নজর নেই। আমরা বলেছি ভর্তুকি দিয়ে হলেও নিত্যপণের দাম সহনশীল মাত্রায় রাখতে হবে।
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে দেশ থেকে। আমরা আর কোনো মেগা প্রকল্প চাই না। আমরা চাই, মানুষ যেন খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে। মানুষ যেন হাসপাতালে গিয়ে সহজে সুচিকিৎসা পায়।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, হারুন অর রশীদ, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান, আমির উদ্দিন ডালু, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।