Inqilab Logo

রোববার, ০৯ জুন ২০২৪, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রোলস রয়েস গাড়ি কান্ডে তদন্ত শুরু

সাত সদস্যের কমিটি গঠন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০২২, ১২:০০ এএম

 শুল্কায়ন নিষ্পত্তি এবং কাস্টমস ছাড়পত্র ছাড়াই চুপিসারে বিশ^খ্যাত রোলস রয়েস ব্র্যান্ডের ২৭ কোটি টাকা দামের একটি গাড়ি সরিয়ে নেয়ার ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের নেতৃত্বে গতকাল মঙ্গলবার সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে কাস্টমসের পক্ষ থেকে গাড়িটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানো নোটিশ ইস্যু করা হচ্ছে। এরপর সংশ্লিষ্ট আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা। এছাড়া তদন্তে জালিয়াতির কোন প্রমাণ ফেলে ফৌজদারি মামলাও হতে পারে। প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছে। পরবর্তিতে কাস্টম আইন মামলা হবে।
গাড়িটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম ইপিজেডের ‘জে এন্ড জে ইনটিমেটস লিমিটেডের’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ জহিরের বারিধারার বাড়ি থেকে ৪ জুলাই গাড়িটি আটক করা হয়। রোলস রয়েস ব্র্যান্ডের ২০২১ সালের কালিনান এসইউভি মডেলের গাড়িটি ছয় হাজার ৭৫০ সিসির বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। গাড়িটি ওই প্রতিষ্ঠানের নামে ২৭ এপ্রিল আমদানি করা হয়। তবে নিয়ম অনুযায়ী গাড়িটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে চট্টগ্রাম ইপিজেডে তাদের কারখানা প্রাঙ্গণে নেয়া হয়। কিন্তু শুল্কায়ন শেষ হওয়ার আগেই ১৭ মে গাড়িটি ইপিজেড থেকে ঢাকার বারিধারায় নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়িটি ইপিজেড থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এমন খবর পেয়ে প্রথমে ইপিজেডে অভিযান চালানো হয়। পরে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের যুগ্মপরিচালক মো. শামসুল আরেফিন খানের নেতৃত্বে একটি দল বারিধারায় ওই প্রতিষ্ঠানের এমডির গ্যারেজে গাড়িটির সন্ধান পান। অধিদফতরের তরফে বলা হয়, গাড়িটি এসআরও (স্ট্যারুচেরি রেগুলেটরি অর্ডারে) এবং কাস্টমস মূসক সিপিসি (কাস্টমস প্রসিডিউর কোড) ১৭০ এর আওতায় আমদানি করা। এই আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুসারে দুই হাজার সিসি পর্যন্ত গাড়ি আমদানি শুল্কমুক্ত হবে। গাড়ির বনেটে থাকা স্টিকারে গাড়িটি ছয় হাজার ৭৫০ সিসি বলে উল্লেখ আছে।
আটক গাড়িটি ২০০০ সিসি’র বেশি হওয়ায় শুল্ক মুক্ত সুবিধা প্রাপ্য না হলে সরকার ২৪ কোটি টাকা রাজস্ব হারাবে। এ ধরনের গাড়িতে শুল্ককর দিতে হয় শুল্কায়িত মূল্যের আট গুণ। স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল ধরনের এ গাড়ি উৎপাদনের সাল ২০২১। মডেলের নাম কুলিনান এসইউভি।
গাড়িটি উদ্ধারের পর তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের টিম। এ ধারাবাহিকতায় গতকাল অধিদফতরের মহাপরিচালক সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশির আহমদ। তিনি জানান, কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিকে কাস্টম হাউসের পক্ষ থেকে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানো নোটিশ ইস্যু করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম কাস্টম ইপিজেডের যুগ্ম কমিশনার মো. মিজানুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি এবং কোন প্রকার শুল্কায়ন ও কাস্টম ছাড়পত্র ছাড়া গাড়িটি সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে আমদানিকারকের বক্তব্য জানতে নোটিশ ইস্যু করা হচ্ছে। নোটিশ তৈরি হয়েছে আজ বুধবার আমদানিকারককে এ শোকজ পৌঁছে দেয়া হবে। তাদের বক্তব্য পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট আইনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ