Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

অনিয়ম রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকে পরিবর্তন আসছে : নতুন গভর্নর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০২২, ৮:৪৫ পিএম

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সাম্প্রতিক সময়ে এসব পরিদর্শন প্রায় বন্ধ ছিল। তবে নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নিয়ে প্রথম দিনই জানালেন, ব্যাংক পরিদর্শন হবে এবং খুব শিগ‌গিরই পরিদর্শনের বিষয়ে পরিবর্তন দেখতে পাবেন। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর দায়িত্ব গ্রহণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন।

সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি গ্রুপের কাছে একাধিক ব্যাংক চলে গেছে। নানা অনিয়মও হচ্ছে। বেশকিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নড়বড়ে অবস্থায় আছে এসব বিষয়ে তেমন প‌রিদর্শ‌নও হচ্ছে না- এ বিষয়ে নতুন গভর্নরের অবস্থান কি হবে জানতে চাইলে আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, আজকে আমি জয়েন করে ডেপুটি গভর্নর, বিএফআইইউর প্রধান, নির্বাহী পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ইন্সপেকশন নিয়ে খুব শিগগিরই একটা চেঞ্জ দেখতে পাবেন।

কোন কোন বিষয়গুলোকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে জানতে চাইলে নতুন গভর্নর বলেন, আমা‌দের প্রধান কাজ হ‌বে মূল্যস্ফী‌তি নিয়ন্ত্রণ করা। এটাকে এখন বেশি গুরুত্ব দেব। দ্বিতীয় কাজ বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা। এজন্য আমদানি-রপ্তানির যে ব্যবধানটা আছে এটা কীভাবে কমিয়ে এনে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেটাই চেষ্টা করব। তৃতীয়ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর চেষ্টা করব। আপনারা জানেন এটা এক সময় ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল। মহামারি করোনা ও বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতির কারণে এটা এখন নিচে নেমে এসেছে। এটাকে একটা গ্রহণযোগ্য অবস্থায় নিয়ে যাব। আমার প্রত্যাশা ছয় মাসের আমদানি পরিশোধ করা যায় এমন অবস্থায় নিয়ে যাওয়া।

এছাড়া ফাইন্যান্সিয়াল স্টেবিলিটি অর্থাৎ আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। তিনি জানান, আমাদের বেশিরভাগ ব্যাংক ভালো অবস্থায় আছে; দু'একটি ছাড়া। এগুলো সংস্কার করব। খেলাপি ঋণ একটা গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে আসা ও মূলধন ঘাটতি যে সমস্যা আছে তাও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে আনার চেষ্টা করব। আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি মানুষের একটা আস্থার অভাব রয়েছে এটা কীভাবে আবার ফিরিয়ে আনা যায় এ বিষয়ে কাজ করব। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ না বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়বে না, প্রবৃদ্ধিও হবে না। এটা বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেব। বিশেষ করে সিএসএমই খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করব। বর্তমান পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়ে কোনো চাপ মনে করছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নতুন গভর্নর বলেন, সরকারে থাকা অবস্থায় অনেক চাপে ছিলাম। করোনার মধ্যে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আমরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাব না। আর কোন সময় কি সিদ্ধান্ত নিতে হয় এটা আমরা জানি।

দাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এখন বিভিন্ন ঋণের শর্তের বিষয়ে সাবেক এ সচিব বলেন, আইএমএফ এর শর্তের বিষয়টি সরকার দেখবে। আমি চাকরি ছেড়ে দিয়ে এসেছি। এখন সরকারে নেই। সরকারের বিষয় সরকার সিদ্ধান্ত নেব, আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক কি করবে তা বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। কেমন কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেখতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বুদ্ধিবৃত্তিক, পেশাদারিত্ব ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসাবে দেখতে চাই।



 

Show all comments
  • Santosh kumar Bhowmik ১৫ জুলাই, ২০২২, ৯:০৩ পিএম says : 0
    স্যার বিনীত ভাবে অনুরোধ করবো,ঠগ বাচতে বাচতে আপনার কম্বল উজার হয়ে যাবে।একজন এসকে সুর না, অনেক গুলো পেইড এসকে সুর আপনার প্রতিষ্টানের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘাপটি মেরে বসে আছেন।যারা ব্যাংকার,জনগন এমনকি সরকারের গুডবুকে থেকে সরকারের বারটা বাজিয়ে ছাড়বে।ওরা শুধু একজন মানুষের স্বার্থ ও তার আট দশটা আর্থিক প্রতিষ্টানের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত।গত তিন বছরে আমার নিকট অনেক তথ্য ও অডিও রেকর্ড সংরক্ষিত আছে।প্রয়োজনে সহযোগীতা নিতে পারেন। একান্ত অনুরোধ করবো স্যর,আমাকে দয়া করে যদি পাঁচটা মিনিট সময় দেন তবে আপনার ব্যাংকের যারা আমার জীবনের চরম সর্বনাশ যারা করছেন তথ্য প্রমান সহ তাদের মুখোশ খুলে দিব। খোদা আপনার মঙ্গল করুক।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ