Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ক্লোজআপ শিল্পী সালমার বিবাহবিচ্ছেদ

স্বামীর দাবি উচ্ছৃঙ্খল আচরণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ক্লোজআপ তারকা সঙ্গীতশিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমার ঘর-সংসার ভাঙল উচ্ছৃঙ্খলতার কারণে। ২০ নভেম্বর স্বামী সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের মধ্যে রাজধানীর ধানম-ির একটি হোটেলে উভর পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিচ্ছেদের সব কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এ সময় এমপি শিবলী সাদিক মোহরানার ২০ লাখ ১ টাকা বুঝিয়ে দেন বলে জানিয়েছেন সালমা। তার স্বামী এমপি শিবলী সাদিক বলেন, উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণেই মূলত সংসার ভেঙে গেল। পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণেই আমরা তার আচরণ মেনে নিতে পারছিলাম না।
বিচ্ছেদের বিষয়ে সালমা বলেন, শিবলী আগের মতো নেই। এমপি হওয়ার পর সে অনেক পাল্টে গেছে। একজন নারী কখনো চায় না, তার সংসার ভেঙে যাক; আমিও চাইনি। অনেক দিন ধরে শিবলীর সঙ্গে আমার নানা কারণে বনিবনা হচ্ছিল না। তাই শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। তিনি বলেন, এতদিন বিষয়টি মুখ বুঝে সহ্য করেছি। চেষ্টা করেছি, নিজেরা বিষয়টি ঠিক করে নেব। আমার একার চেষ্টায় তো আর সব সম্ভব না। তাই দিনের পর দিন সমস্যাটা বাড়তে থাকে। এ নিয়ে দুই পরিবার বহুবার বসেছিল। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। শিবলী আমাকে ও আমার পরিবারকে বিন্দুমাত্র সম্মান করে না। আমি গান-বাজনা করি, সেটাও শিবলী পছন্দ করে না। এমন আরো অসংখ্য কারণে কয়েক মাস ধরেই আমরা আলাদা থাকছি। এভাবে একটা সংসার চলতে পারে না।
এদিকে লোকসঙ্গীত শিল্পী  ‘ক্লোজআপ ওয়ান’ তারকা সালমার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন স্বামী দিনাজপুর-৬ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি শিবলী সাদিক। তিনি বলেছেন, সালমার উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনই বিবাহবিচ্ছেদের মূল কারণ। সালমার অস্বাভাবিক চলাফেরার কারণেই বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছে। আমার পরিবার ও বংশ সম্পর্কে আপনাদের হয়তো ধারণা আছে। দিনাজপুরের স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পটের সুবাদে অনেকে আমাদের চেনেন। সালমার অস্বাভাবিক চলাফেরার কারণেই বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছে। সালমা রাত-বিরাত বিভিন্ন জায়গায় যায়।
এটিই মূল সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এটাই আমরা এক্সসেপ্ট করতে পারিনি। বিশেষ করে গত রমজানে সেহরি পার্টি থেকে শুরু করে ৪ মাস রাগ করে বাসা থেকে চলে গিয়ে বাইরে ছিল। সে ২০ নভেম্বর বাসায় ফিরে টাকা-পয়সা দাবি করে, মোহরানা দাবি করে। এমনকি কাজী সঙ্গে নিয়ে আসে। একপর্যায়ে ২০ লাখ টাকা দাবি করে। এমনকি সে চেক না দিয়ে নগদ টাকা দাবি করে। সালমাকে গান করতে না দেয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছিলাম সে একটা লিমিটেশনের মধ্যে থাকুক। ওর কথা হলো সে আমেরিকা বা দেশের বাইরে যাবে, নাটক ও অভিনয় করবে। রাত-বিরাত স্টুডিওতে গিয়ে কাজ করবে। এসব করতে পারিবারিকভাবে আমরা নিষেধ করেছি। এই হলো বিষয়। মেয়ে কার কাছে থাকবে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ বিষয়ে দু’জনের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। মেয়ে আমার কাছেই থাকবে। তিনি বলেন, মেয়ের টেককেয়ার সে (মা সালমা) আগেও করত না বা এর ধারও ধারত না। সালমার পরিবারের টার্গেট ছিল আসলে অন্য বিষয়ে। তারা টাকা-পয়সা আদায় করতে চেয়েছে। তারা সফলও হয়েছে। তিনি বলেন, বিয়ের পর থেকে ওর বাবা-মা মাসের ২৫ দিনই আমার কাছে থাকত। আমি যদি খারাপ ব্যবহার করতাম তাহলে আমার বাসায় কিভাবে থাকে? মাসের ৫টা দিন শুধু কুষ্টিয়া থাকত তারা। এমনকি সালমার বাবা-মা ভাইবোনকে আমিই টাকা-পয়সা দিতাম। এমনকি আমার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর সালমার নামে এখন ঢাকায় দু’টি ফ্ল্যাট হয়েছে। তাদের গ্রামে দোতলা বাড়ি করে দিয়েছি আমি। বিয়ে হওয়ার আগেও সালমা ইনকাম করত।
লোকসঙ্গীত শিল্পী সালমা রিয়ালিটি শো ‘ক্লোজআপ তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’-এর মাধ্যমে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। শিবলী সাদিক পছন্দ করেন সালমাকে। ২০১১ সালে দুই পরিবারের সম্মতিতে সালমা ও শিবলী সাদিকের বিয়ে হয়। এরপর ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি সালমার প্রথম সন্তান জন্ম নেয়। সালমা-সাদিকের একমাত্র কন্যা স্নেহা নার্সারিতে পড়ে। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ