পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে দলীয় প্রতীকে প্রথম হতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকারের নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বাজেট ধরা হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা। যা ২০১১ সালের এ সিটি নির্বাচনে ব্যয় হয়েছিল পৌনে দুই কোটি টাকা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন পরিচালনা খাতে এ টাকা ব্যয় বেশি ধরা হয়েছে।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর আয় বেশি, আর সম্পদ বেশি বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের। এ নির্বাচন উপলক্ষে কমিশনে দেয়া প্রধান দুই দলের প্রার্থীর জমা দেয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব (বাজেট) মো. এনামুল হক ইনকিলাবকে বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য কমিশনের সম্ভাব্য বাজেট ধরা হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা। তবে এটি কম-বেশি হতে পারে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন পরিচালনা খাতে সবচেয়ে বেশি টাকা ব্যয় করা হবে। নির্বাচন পরিচালনার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের ভাতা, নির্বাচনী মালামাল কেন্দ্রে কেন্দ্র পৌঁছানো, ভোটকেন্দ্র মেরামতসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় করা হবে। ২০১১ সালের প্রথম এ সিটি নির্বাচনে ব্যয় হয়েছিল পৌনে দুই কোটি টাকা।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর আয় বেশি, আর সম্পদ বেশি বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের। বাবা ও নিজের সম্পদের হিসাবে কোটিপতি আইনজীবী সাখাওয়াত, অপরদিকে আইভীর সম্পদের পরিমাণ কম থাকলেও তার আয় বেশি দেখানো হয়েছে। আগামী ২২ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচন উপলক্ষে প্রধান দুই দলের প্রার্থীর জমা দেয়া হলফনামা সম্পদের পরিমাণ দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী
নগদ, ব্যাংকে জমা, স্বর্ণালঙ্কার, ইলেক্ট্রনিক-আসবাব ও পরিবারকে ঋণ দেয়া বাবদ আওয়ামী লীগের আইভীর রয়েছে ৪২ লাখ ২৪ হাজার ২৫০ টাকার সম্পদ। এর বাইরে যৌথ মালিকানার ১১২ শতাংশ অকৃষি জমির আট ভাগের একভাগের মালিক তিনি। পাঁচ বছর আগে আয় পৌর মেয়র থেকে সিটি করপোরেশন নির্বাচন করেন আইভী। সে সময় তার বার্ষিক আয় ছিল ১৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। সম্পদ দেখিয়েছিলেন ব্যাংকে জমা ১০ লাখ টাকা এবং স্বর্ণালঙ্কার বাবদ ৩০ হাজার টাকা। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে আইভীর বার্ষিক আয় ছিল ১১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।
বিএনপির প্রাথী অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন
অপরদিকে বিএনপির প্রার্থী এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন ও তার স্ত্রীর স্থাবর ও অস্থাবর মিলে সম্পদের পরিমাণ ৯৭ লাখ ৫ হাজার ১৩৭ টাকা। অপরদিকে জেলা জজকোর্টের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন পাঁচ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৯ টাকা। আর ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ থেকে সুদ হিসেবে আসে ৩ হাজার ৮০১ টাকা। নগদ, যানবাহন, স্বর্ণালঙ্কার, ইলেক্ট্রনিক-আসবাব, ব্যবসার মূলধন মিলিয়ে তার সম্পদের পরিমাণ ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ৬৫৯ টাকা। তার স্ত্রীর রয়েছে ১৭ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭৮ টাকার সম্পদ। নারায়ণগঞ্জে জমি আছে সাখাওয়াত ও তার স্ত্রী দু’জনের জমির মূল্য দেখানো হয়েছে ১৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা ও ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
গত বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৯ জন। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭৬ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৩৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। মেয়র পদে মনোনয়ন জমা দেয়া প্রার্থীরা হলেনÑ এলডিপি থেকে কামাল প্রধান, আওয়ামী লীগ থেকে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, বিএনপি থেকে অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন খান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মাওলানা মো. মাসুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি থেকে মো. রাশেদ ফেরদৌস, জাসদ (ইনু) থেকে মোসলেম উদ্দিন আহম্মেদ, ইসলামী ঐক্যজোট বাংলাদেশ থেকে মুফতি এজাহারুল হক এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থী সুলতান মাহামুদ।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন রিটার্নিং অফিসার নূরুজ্জামান তালুকদার ইনকিলাবকে জানান, মেয়র পদে ৯ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গতকাল ও আজ মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হবে। প্রত্যাহার ৪ ডিসেম্বর ও প্রতীক বরাদ্দ ৫ ডিসেম্বর দেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।