পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিসের (‘র’) সাবেক প্রধান এ এস দুলাত বলেছেন, আগে কখনো কাশ্মির পরিস্থিতি এত খারাপ হয়নি। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘কাশ্মির : অশান্তির কারণ, শান্তির পথ’ বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি ওই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘কাশ্মির পরিস্থিতি এতটা খারাপ হতে কখনো দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মির সমস্যা সমাধান খুঁজে পেতে সময় হারাচ্ছেন। কাশ্মিরীদের আশা, তিনি (মোদি) সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর পথে চলবেন।’ দুলাত বলেন, ‘পাকিস্তান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছে টানার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। এখন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সঙ্গে আসছেন, এ রকম হয়েছে কারণ, দিল্লির কাছে এ বিষয়ে সময় নেই।’
তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ওই বিবৃতি উল্লেখ করেনÑ যাতে বলা হয়েছিল, নোট বাতিলের ফলে কাশ্মির উপত্যকায় পাথর ছোড়ার ঘটনা বন্ধ হয়ে গেছে। গত ১৪ নভেম্বর প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পার্রিকার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, ‘কাশ্মিরে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর ছোড়ার জন্য ৫০০ রুপির নোট দেয়া হতো। অন্য বড় কোনো হামলা চালাতে পারলে ১ হাজার রুপি। কিন্তু নোট বাতিলের জেরে সেই হামলা বন্ধ হয়েছে।’
এ এস দুলাত অবশ্য প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ওই দাবিকে নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘নোট বাতিলের আগেই পাথর ছোড়ার ঘটনা বন্ধ হয়েছে।’
সন্ত্রাসবাদ এবং জাল টাকার মধ্যে সম্পর্ক থাকলেও এতে কিছু অতিরঞ্জিত করা হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। প্রতিবেশী দেশ রাজ্যে তাদের ভূমিকা হারিয়েছে বলে মন্তব্য করে দুলাত বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না পাকিস্তানে ২০১৩ সালের নির্বাচনে কাশ্মির ইস্যু ছিল না। গত সেপ্টেম্বরে গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কাশ্মিরে চলমান সহিংসতায় হতাহতের ঘটনায় এ এস দুলাত বলেছিলেন, ‘ওই সহিংসতা সত্ত্বেও সরকার ক্ষুব্ধ লোকজনদের কাছে পৌঁছতে এবং তাদের সঙ্গে কথা বলার লক্ষ্যে কিছু করেনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং জম্মু-কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন।’ কাশ্মিরের মানুষদের মধ্যে অনেক ক্ষোভ রয়েছে, তাদের প্রতি বিশেষভাবে নজর দেয়া প্রয়োজন বলেও তিনি সেসময় মন্তব্য করেন।
কাশ্মিরের ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার ভূমি চীনের দখলে : ভারত
এদিকে জম্মু-কাশ্মিরের প্রায় ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার ভূমি চীনের দখলে রয়েছে বলে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে। গত শুক্রবার সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ভি কে সিং ওই তথ্য জানান। ১৯৬৩ সালের ২ মার্চ চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে সই হওয়া কথিত চীন-পাকিস্তান সীমান্ত চুক্তি অনুসারে পাকিস্তান অবৈধভাবে পাক অধিকৃত কাশ্মিরের ৫ হাজার ১৮০ বর্গকিলোমিটার ভারতীয় ভূখ- চীনকে দিয়েছে বলেও ভি কে সিং উল্লেখ করেন। জেনারেল সিং বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মির ভারতের অখ- এবং অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, এ কথা চীনা কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন সময়ে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এমনকি সর্বোচ্চ পর্যায়েও তা বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে এক কর্মকাঠামোর সম্ভাবনা সন্ধানের জন্য উভয় পক্ষ বিশেষ প্রতিনিধি নিযুক্ত করতে সম্মত হয়েছে।’
অন্য এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে বি কে সিং বলেন, ভারত চীনের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। চীনের সঙ্গে চলমান সম্পর্কের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ভারত সফরের সময় উভয় পক্ষ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের সম্পর্ক প্রসারিত ও গভীর করতে নিবিড় উন্নয়নে অংশীদারিত্বে সম্মত হয়। প্রেসিডেন্ট শি ২০১৬ সালের ১৫-১৬ অক্টোবরে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য ভারতে আসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। দুই নেতাই গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬-তে হ্যাংঝৌতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময় এবং চলতি বছরের ২৩ জুন তাসখন্দে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের সময় সাক্ষাৎ করেন।’
ওই সব সাক্ষাতের সময় উভয় পক্ষ একে অন্যের স্বার্থ এবং আকাক্সক্ষার প্রতি পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে নিবিড় উন্নয়নে অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করতে সম্মত হয় বলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি কে সিং মন্তব্য করেন। সূত্র : পার্স টুডে ও ওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।