পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কলেজ শিক্ষককে জুতার মালা পরানোর ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে করা রিটের শুনানি মুলতবি করা হয়েছে। রিটটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হলে গতকাল বুধবার বিচারপতি ভীষ্মদেব চμবর্তী এবং বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ তথ্য জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী পূর্ণিমা জাহান। শুনানির শুরুতেই আদালতে রিটকারী আইনজীবী পূর্ণিমা জাহান বিরূপ মন্তব্য করেন। এজন্য আদালত তার প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেন। পরে ক্ষমা প্রার্থনা অ্যাডভোকেট পূর্ণিমা জাহান। পরে রিটটি শুনানির জন্যে (স্ট্যান্ডওভার) মুলতবি করা হয়।
গত ৪ জুলাই নড়াইলে কলেজশিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের ওপর শুনানি করবেন মর্মে গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। এর আগে রিটটি আদালতে উপস্থাপন করেন আইনজীবী পূর্ণিমা জাহান। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র’র পক্ষে অ্যাডভোকেট পূর্ণিমা জাহান রিটটি ফাইল করেন।
এর আগে গত ২৮ জুন শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আদেশ চেয়ে বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন এ আইনজীবী। পরে এ বিষয়ে রিট করার পরামর্শ দেন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ। ওইদিন আদালতে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবদ আদালতের দৃষ্টিতে আনেন। তখন হাইকোর্ট বিষয়টি রিট আকারে উপস্থাপনের পরামর্শ দেন।
প্রসঙ্গত, মহানবীকে নিয়ে কটূক্তিকারী ভারতের মুখপাত্র নূপুর শর্মার ছবি ঘিরে এক কলেজছাত্রের ফেসবুকে পোস্ট ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গত ১৮ জুন দিনভর নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও সহিংসতা চলে। ওইদিন বিকেলে পুলিশের পাহারায় ক্যাম্পাস ছাড়ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। ওইসময় কতিপয় ব্যক্তি এসে অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন। শিক্ষক স্বপন কুমার হাত উঁচিয়ে ক্ষমা চাইতে থাকেন। পরে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। সবার মাঝে জানাজানি হয়ে যায় যে, নূপুর শর্মার ছবি পোস্ট করেছেন শিক্ষার্থীর কোনো বিচার কিংবা মীমাংসার চেষ্টা না করে না বরং নূপুর শর্মার ছবি পোস্ট করা শিক্ষার্থীর পক্ষ নেন অধ্যক্ষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।