Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঈদযাত্রা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

ঈদযাত্রার প্রথম দিনেই শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে ট্রেন। একাধিক ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। যদিও গতকাল কমলাপুর রেলস্টেশনে অন্য দিনের মতো টিকিটের জন্য ভিড় ছিলো না। মানুষের হুড়াহুড়িও তেমন ছিলো না তবে ঠিক সময়ে কয়েকটি ট্রেন স্টেশনে না আসায় ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষকে বিমর্ষ দেখা গেছে। তারা টিকিট কেটে গন্ত্যব্যে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করলেও তাদের অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে ঘরে ফেরা মানুষরা পড়েছেন বিপাকে। গতকাল মঙ্গলবার ভোর থেকে ট্রেনযোগে ঘরে ফেরার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। তবে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মগুলোতে যাত্রীদের ভিড় ছিলো না। ঈদযাত্রার প্রথম দিনেই সকাল থেকে ছয়টি ট্রেন দেরিতে ছেড়েছে।
জানা গেছে, চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা। সেটি ১ ঘণ্টা দেরিতে স্টেশন ছেড়ে যায়। রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস সকাল সাতটায় ছাড়ার কথা থাকলে তা দেড়ঘণ্টা দেরি করে সকাল সাড়ে সাতটায় স্টেশন ছাড়ে। সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল সোয়া আটটায় ছাড়ার কথা থাকলেও তা সাড়ে নয়টার দিকে স্টেশন ছাড়ে। এ ছাড়া দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ২৫ মিনিট, রংপুর এক্সপ্রেস ৩০ মিনিট দেরিতে স্টেশন ছাড়ে।
কমলাপুর স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, দেরিতে ট্রেনগুলো স্টেশনে আসায় সেগুলো দেরি করে ছেড়েছে। শিডিউল মেনে ট্রেন ছাড়ার বিষয়ে তাদের প্রস্তুতি আছে। ঈদযাত্রার বাকি দিনগুলোতে যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রা করতে পারবেন বলে স্টেশন কর্তৃপক্ষের আশা।
স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, শুধু রংপুর এক্সপ্রেস, নীল সাগর এক্সপ্রেস, ধুমকেতু এক্সপ্রেস ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস দেরিতে ছেড়েছে। ট্রেন বিলম্বে আসায় ছাড়তে দেরি হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন ছাড়ার সব প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। আশা করি এই বিপর্যয় আর থাকবে না।
কমলাপুর রেলস্টেশন ব্যবস্থাপক জানান, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলে একটি ইঞ্জিন বিকলের ঘটনা ঘটে। সে কারণে ট্রেন ঢাকায় আসতে দেরি হয়েছে। এখান থেকে ছাড়তেও দেরি হয়েছে। যেসব ট্রেন এক ঘণ্টা দেরি করছে, তা স্বাভাবিক। এটাকে শিডিউল বিপর্যয় বলা চলে না। একটা সময় ছিল যখন সকালের ট্রেন বিকেলে, বিকেলের ট্রেন রাত ১২টায় বা পরের দিন ছেড়েছে। এখন সে অবস্থা নেই। মানুষের ঈদযাত্রা নিরাপদ করাই এখন লক্ষ্য। সবাই আনন্দ করার জন্যই বাড়ি যাচ্ছে, এতে যেন কোনো বিঘ্নতা না ঘটে। এসব বিবেচনায় ট্রেনগুলো একটু সময় নিয়ে চালানো হয়।
অনেকেই ঈদযাত্রায় ট্রেনে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। প্রতিটি স্টেশনে বলা আছে, যেন যাত্রীরা নিরাপদে নামতে পারে এবং কেউ যেন ট্রেনের ছাদে উঠতে না পারে। কয়েক মিনিট বিলম্ব হলেও যাত্রীরা যেন নিরাপদে ওঠানামা করতে পারে—সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে মাস্ক পরার বিষয়ে যাত্রীদের বলা হচ্ছে।
###



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ