Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঈদে চলাচলের অনুমতি চান বাইকাররা

হয়রানি করা হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়বে যাত্রীকল্যাণ সমিতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

নিরাপত্তা ইস্যুতে আন্তঃমহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাইকাররা। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে সঠিক আইন প্রয়োগের মাধ্যমে আবারও বাইক চলাচলের অনুমতি দেয়ার দাবি জানান তারা। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে তারা এই দাবি জানান।
মানববন্ধন অংশ নেয়া বাইকচালক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, একটা মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট হওয়ায় বাইক চালানো বন্ধ করে দেয়াটা কোনো সমাধান না। বরং মহাসড়কে আইনের প্রয়োগ করে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেয়া হোক। ঈদে বাড়ি ফেরার জন্য বাস-ট্রেনের টিকিট পাওয়া ঝামেলা। এছাড়া যাতায়াতেও কষ্ট। তাই ঝামেলাবিহীন বাড়ি ফেরার জন্য মহাসড়কে বাইক চলাচলের অনুমতি চাই। একাধিক বাইকারদের ব্যাখ্যা, যারা প্রকৃত বাইকচালক, তারা সব ধরনের নিয়ম মেনেই চলে। অদক্ষ চালকদের নিয়ন্ত্রণ করতে সঠিক আইনের প্রয়োগ করে চলাচলের অনুমতি দিলেই সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। বাইক নিষিদ্ধের প্রয়োজন পড়ে না। এদিকে, বাইকারদের হয়রানি করা হলে সড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়বে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাইডশেয়ারকারী মোটরসাইকেলের সঠিক কোনও সংখ্যা বা ডাটা বেইস বিআরটিএ বা ট্রাফিক বিভাগের কাছে নেই। ফলে কোনটি রাইডশেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল, কোনটি ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল তা আলাদা করার কোনও সুযোগ নেই। চলার পথে কোথাও কোথাও সড়কের মাঝপথে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা দ্রুতগতির মোটরসাইকেল থামিয়ে কাগজপত্র চেকিং করার দৃশ্য প্রায়শ চোখে পড়ে। এই ধরনের চেকিং পদ্ধতি সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই উৎসমূলে যানজট তৈরি না হয় এমন নিরাপত্তা সমুন্নত রেখে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র চেকিং করা, চেকিংয়ের নামে অহেতুক কোনও বাইকার যাতে হয়রানি বা চাঁদাবাজির শিকার না হয় সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে দেশে ৩৭ লাখের বেশি মোটরসাইকেল রাস্তায় চলছে। গণপরিবহন সঙ্কট, বাস মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা, পদে পদে যাত্রী হয়রানী, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য, রেলের টিকিট অব্যবস্থাপনা, শিডিউল বিপর্যয়, যানজটসহ নানা কারণে ক্রমে ক্রমে মানুষ মোটরসাইকেলের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই বাহনটি কখনোই গণপরিবহনের বিকল্প হতে পারে না। তবুও পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশের আদলে গণপরিবহনের সংখ্যা কমানোর মধ্য দিয়ে যানজট কমাতে দেশে রাইডশেয়ারিং চালু করা হলেও বাস্তবভিত্তিক নীতিমালা ও মনিটরিং এর অভাবে এসব রাইডশেয়ারকারী যানবাহন যানজট আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এমতাবস্থায় দেশের সড়কের তুলনায় মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এই বাহনটির নিবন্ধন বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তার আগে গণপরিবহন সঙ্কট সমাধান করা, যাত্রী সেবার মানোন্নয়ন, যাত্রী হয়রানি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে মনে করেন তিনি।###



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ