পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ব্যাংক খাত। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বেসরকারি খাতের বেশির ভাগ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বেড়েছে। কোনো কোনো ব্যাংকের মুনাফা আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আমদানি-রফতানির কমিশন আয়, ব্যাংকঋণের সুদ ও মাশুল আদায় বাড়ায় প্রভাব পড়েছে পরিচালন মুনাফায়। এসব ব্যবসা থেকে ভালো আয় করেছে ব্যাংকগুলো। এর আগে ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার বাধ্যবাধকতা ও করোনার আঘাতে ২০২০ সালে পরিচালন মুনাফায় ধস নেমেছিল দেশের ব্যাংক খাতে। তবে ২০২১ সালে ব্যাংকগুলোর আয় খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ২০২২ সালেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে ব্যাংক খাত। যদিও সুদ খাতের আয় নয়, বৈদেশিক বাণিজ্যের কমিশনসহ বিভিন্ন সেবার বিপরীতে প্রাপ্ত ফি-ই ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফার বড় উল্লম্ফনে ভূমিকা রেখেছে। পাশাপাশি কস্ট অব ফান্ড বা আমানতের সুদহার কমিয়ে আনার প্রভাবও দেখা গেছে। যে ব্যাংক আমানতের সুদ যত বেশি কমাতে পেরেছে, সে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফায় তত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফার বড় প্রবৃদ্ধিকে দেশের অর্থনীতি ঘুঁরে দাঁড়ানোর বার্তা হিসাবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে বিভিন্ন সূত্রে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফাসংক্রান্ত অনানুষ্ঠানিক যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তা ওই ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা নয়। পরিচালন মুনাফা থেকে ঋণের মান অনুযায়ী নিরাপত্তা সঞ্চিতি ও করপোরেট কর বাদ দেয়ার পরই প্রকৃত মুনাফার হিসাব পাওয়া যাবে।
ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সাউথইস্ট ব্যাংক চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) ৫৩৪ কোটি টাকার পরিচালন মুনাফা করেছে। গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৭২ কোটি টাকা। পূবালী ছয় মাসে ৬৫০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। আগের বছর যা ছিল ৫০৩ কোটি টাকা। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মুনাফার পরিমাণ ৩৯৫ কোটি, যা আগের বছর ছিল ৩৫৮ কোটি টাকা। শাহজালাল ব্যাংক ৪৮৯ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। ২০২১ সালের জুন শেষে যা ছিল ২৮৩ কোটি টাকা। ব্যাংক এশিয়ার মুনাফা ৫৭৪ কোটি টাকা। আগের বছর একই সময় ছিল ৪৮৪ কোটি টাকা। ঢাকা ব্যাংক ৩৭৫ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। আগের বছরে যা ছিল ৩০৯ কোটি টাকা। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ১৬৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ কোটি টাকা বেশি। ব্যাংকটি আগের একই সময়ে ১৫০ কোটি টাকা মুনাফা ছিল। আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ৪৬০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। আগে যা ছিল ৩১০ কোটি টাকা। এই সময়ে এনসিসি ব্যাংকের আয় ছিল ৩৭৭ কোটি, আগের বছর যা ছিল ৩২৮ কোটি টাকা। সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) প্রথম ষান্মাসিকে ১০০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে। এর আগের বছরের একই সময়ে ব্যাংকের মুনাফা ছিল ৮০ কোটি টাকা। সে হিসাবে ছয় মাসে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা বেড়েছে ২০ কোটি টাকা বা ২৫ শতাংশ। এক্সিম ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ছিল ৩৭৫ কোটি। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৫০ কোটি। এ সময়ে ১২৮ কোটি টাকা করেছে মধুমতি ব্যাংক। আগের বছরে যা ছিল ৮৩ কোটি। তবে বেসিক ব্যাংক লোকসান থেকে বের হতে পারেনি। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ২২ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৫৭ কোটি টাকা। সে হিসাবে লোকসান কমে এসেছে ২৩৫ কোটি টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।