পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইনের শাসন সূচকে বিশ্বের ১৩৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৪ তম। দক্ষিণ এশিয়ার ৬টি দেশের মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট (ডব্লিউজেপি) গত শুক্রবার বৈশ্বিক আইনের শাসনের এই সূচক প্রকাশ এই সংস্থার সাবেক সভাপতিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার,সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেডেলিন অলব্রাইট ও কলিন পাওয়েলের মতো ব্যক্তিরা রয়েছেন। সংস্থাটি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আইনের শাসনের এই সূচক নিয়মিতই প্রকাশ করছে। এর আগে ২০২০ সালে ইনডেস্ক প্রকাশ করে। এতে ১৩৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান ছিলো ১২৫তম। এ হিসেবে গত বছরের চেয়ে এবার একধাপ উন্নতি করেছে। পক্ষান্তরে আইনের শাসন প্রশ্নে আন্তর্জাতিকভাবে ৭০তম অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ারই আরেক দেশ নেপাল। এবারের সূচকে আন্তর্জাতিকভাবে এক নম্বরে অবস্থান করছে ডেনমার্ক।
একটি দেশের ৭টি বিষয়ের মানদ-ে এই সূচক নির্ণীত হয়। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সীমাবদ্ধতার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৫তম। নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতার প্রয়োগের দিক থেকে ১২২তম, ফৌজদারি বিচারের দিক থেকে ১১৭তম, দেওয়ানি বিচার পাওয়ার দিক থেকে ১২৯তম, দুর্নীতি না হওয়ার দিক থেকে ১১২তম, জননিরাপত্তায় ১১১তম এবং সরকারি তথ্য প্রকাশের দিক থেকে ১০২তম অবস্থানে বাংলাদেশ। এই বিষয়গুলোর ৫টিতেই বাংলাদেশের অবস্থার অবনতি হয়েছে। শুধু জননিরাপত্তা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১ লাখ ৩৮ হাজার খানা এবং ৪ হাজার ২০০ জন আইনজীবী ও বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে এই সূচক করা হয়েছে। বাংলাদেশের ১ হাজার খানা (পরিবার) এবং আইন পেশাসংশ্লিষ্ট ১৭ জনের মতামত নেয়া জরিপে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আইনের শাসনে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে নেপাল (৭০তম)। এরপরেই শ্রীলঙ্কা (৭৬) ও ভারত (৭৯)। খারাপ অবস্থানের দিক দিয়ে বাংলাদেশের পরেই রয়েছে পাকিস্তান (১৩০) ও আফগানিস্তান (১৩৪তম)। তবে সামগ্রিকভাবে আইনের শাসনের দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ৬টি টি দেশেরই অবস্থার অবনতি হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভুটান ও মালদ্বীপের বিষয়ে ডব্লিউজেপি‘র প্রতিবেদনে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের পরই উগান্ডা, হন্ডুরাস, জিম্বাবুয়ে ও মিয়ানমারেরস্থান। বিশ্বে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর এটিই প্রথম প্রতিবেদন। তাতে দেখা যাচ্ছে, বেশির ভাগ দেশেই আইনের শাসন অবনতিশীল।
ডব্লিউ জেপি‘র সূচকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক,নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড। অপর দিকে আইনের শাসনের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কঙ্গো,কম্বোডিয়া ও ভেনেজুয়েলায়।
ইনডেস্কে যেসব দেশ রয়েছে, তার মধ্যে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ দেশেই করোনাকালে আইনের শাসনের অবনতি হয়েছে। এসব দেশে বিশ্বেও অন্তত ৮৫ শতাংশ মানুষের বসবাস। এসব দেশের জনসংখ্যা ৬৫০ কোটি।
ডব্লিউজেপির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিল নিউকম বলেন, এবারের আইনের শাসন সূচকে এত বেশিসংখ্যক দেশে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে যে তা আমাদের সবার জন্য একটি সতর্কবার্তা। প্রতিটি দেশের মানুষের ন্যায়বিচার, সুযোগ প্রাপ্তি ও শান্তির মৌলিক ভিত্তি হচ্ছে আইনের শাসন। বৈশ্বিক মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের যে সময় আমাদের সামনে অপেক্ষা করছে, সেখানে এই মৌলিক ভিত্তিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।