পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ বলেছেন, পল্লীবন্ধু এরশাদ নেই। উনি থাকলে পার্টি অন্যরকম হতো। উনি নেই, তাই আজ জাতীয় পার্টি এলোমেলো হয়ে গেছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে দলের বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন না। রওশন বলেন, যাদের দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। যারা চলে গেছেন তাদেরও ফিরিয়ে আনতে হবে। নতুবা আমরা অনেক পিছিয়ে যাবো। জাতীয় পার্টিতে স্বেচ্ছাচারিতা চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রওশন এরশাদ তার বক্তব্যে ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ ছয়মাস আমি থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। পার্টির কেউ খোঁজ নেয়নি আমার। আমি সবার খোঁজ নিয়েছি। অথচ যাদের দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তারাই আমার নিয়মিত খোঁজ রেখেছেন। মসজিদ, মাজারসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে দোয়া প্রার্থনা করেছেন। তিনি বলেন, অনেক ভালো ভালো নেতাকর্মী দলের বাইরে আছেন, তাদের দলে আনতে হবে। নতুন প্রজন্মকে দলে আনতে হবে। কাজী জাফর, শাহ্ মোয়াজ্জেম, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ অনেক সিনিয়র নেতা পার্টি ছেড়ে চলে গেছেন, তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। দলকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমকক্ষ বানাতে হবে। নতুবা রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারবো না।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, পার্টিকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনে যা যা করার দরকার তাই করবো। এরশাদ সাহেব তিলে তিলে এ দলটা গড়েছেন। সবাইকে নিয়েই কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, বিমানবন্দরে আমি আসার দিন এত মানুষ আমাকে যে অভ্যর্থনা জানিয়েছে তা দেখে আমার দু’চোখে জল এসে গেছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে স্মরণ করে তিনি বলেন, এরশাদ ওপারে ভালো আছেন। উনি জান্নাতবাসী হবেন। কারণ, তিনি ইসলামের খাদেম ছিলেন। সভায় জাপার সাবেক এমপি নূরুল ইসলাম মিলন বলেন, পার্টির কর্মীরা আজ অসহায়, তাদের খোঁজ কেউ নেয় না। আপনাকে (রওশন এরশাদ) দলের দায়িত্ব নিতে হবে। পার্টির লাখো কর্মী আপনার অপেক্ষায়। এসময় রওশনপুত্র রাহগীর আল মাহি (সাদ এরশাদ) ছাড়াও অন্য নেতাকর্মীরাও বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।