পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রাষ্ট্রীয় সেল ফোন কোম্পানি ‘টেলিটক’-এর প্রায় দুই লাখ গ্রাহক প্রতিনিয়ত চরম বিড়ম্বনার শিকার। গ্রাহকদের অনেকে আবার এটাকে প্রতারণা বলেও অভিযোগ করছেন। বরিশাল বিভাগসহ বৃহত্ত্বর ফরিদপুর অঞ্চলের ১১টি জেলায় টেলিটকের সেবার মান ক্রমশ তলানীতে ঠেকলেও তা থেকে উত্তরণে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের কোনো তৎপরতা নেই। অথচ দুর্ভোগ গ্রাহকদের পিছু ছাড়ছে না। ফলে বিপুল সম্ভাবনা নিয়ে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সেল ফোন কোম্পানির প্রতি গ্রাহকদের আস্থা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।
বিটিএসসমূহের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণসহ উন্নয়নের অভাবে দুর্বল নেটওয়ার্কের কারণে দক্ষিণাঞ্চলে টেলিটকে কথা বলাই এখন দুষ্কর। কোনো অবস্থাতেই একবারে এ সেল ফোনের লাইন পাওয়া কঠিন। আবার লাইন পেলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কথা একপেশে হয়ে যাচ্ছে। ফলে এক প্রান্তের কথা অন্য প্রান্তে পৌঁছে না। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিটিএসগুলোর নেটওয়ার্কের পরিধি অতি সীমিত হয়ে পড়ায় এ সেল ফোন থেকে গ্রাহকগণ সুষ্ঠু কোনো সেবা পাচ্ছেন না। এখনো এ অঞ্চলের জেলা শহর ও বরিশাল মহানগরীতে টেলিটকের ৩-জি সার্ভিস সীমিত। আর ২-জি সার্ভিসের নেটওয়ার্ক অত্যন্ত দুর্বল হওয়ায় জেলা সদরগুলোর বাইরের গ্রাহকগণ ইন্টারনেটের প্রকৃত সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বৃহত্বর ফরিদপুর ও বরিশাল বিভাগসহ দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি জেলায় এ পর্যন্ত টেলিটকের প্রায় সাড়ে ৩০০ বিটিএস স্থাপন করা হলেও এর মধ্যে ৩-জি নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে ৫০টির কিছু বেশি। আর এ সাড়ে ৩০০ বিটিএসের বেশির ভাগের যন্ত্রপাতিই অনেক পুরনো। এমনকি ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাতিলকৃত অনেক যন্ত্রপাতি এনে এ অঞ্চলে স্থাপন করায় বিপত্তি আরো বেড়েছে। এসব পুরনো যন্ত্রপাতি সামান্য সমস্যাতেই গ্রাহকদের দুর্ভোগে ফেলছে। বেশির ভাগ বিটিএসের ব্যাটারি পুরনো হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার সাথেই পুরো নেটওয়ার্কই অকার্যকর হয়ে যাচ্ছে। ফলে টেলিযোগাযোগও বিপর্যস্ত করছে। ভয়েস কল থেকে শুরু করে ইন্টারনেট পরিসেবাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঘন ঘন। খোদ বরিশাল মহানগরীর বেশির ভাগ এলাকায় দিন-রাতের বেশির ভাগ সময়ই টেলিটকের কোনো নেটওয়ার্ক থাকছে না। পাশাপাশি যে অপটিক্যাল ফাইবারের ওপর দেশব্যাপী সংযোগ বিদ্যমান, তাও ঘন ঘন কাটা পড়ায় বিপর্যয়ের কবলে পড়ছে টেলিটকের নেটওয়ার্ক।
ফলে ভয়েস কল থেকে শুরু করে ইন্টারনেট পরিসেবাও বন্ধ থাকছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। দক্ষিণাঞ্চলে সরকারি এ সেল ফোন কোম্পানিটির বেশির ভাগ গ্রাহকেরই অভিযোগ ‘টেলিটক এখন আর কোনো নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ মাধ্যম নয়’। পুরনো প্রায় সব টেলিটক গ্রাহকই এ মোবাইল ব্যবহার করতে গিয়ে এখন বিকল্প অন্য সেল নম্বরও সাথে রাখছেন নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের জন্য। এমনকি বরিশাল মহানগরীতেই টেলিটকের নেটওয়ার্ক থাকছে না অনেক এলাকাতে। মহানগরীতে কাস্টমার কেয়ার সেন্টারটি এমন এক স্থানে স্থাপন করা হয়েছে, যা গ্রাহকদের সুষ্ঠু সেবার পরিবর্তে দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে।
তবে এসব ব্যপারে টেলিটকের বরিশাল অঞ্চলের দায়িত্বশীল মহলে আলাপ করা হলে তারা জানান, ‘পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো। আমরা চেষ্টা করছি গ্রাহকদের আরো ভালো সেবা প্রদান করতে’। আর গ্রাহকদের দাবি, ‘সেবার নামে টেলিটক গ্রাহকদের সাথে লাগাতার প্রতারণা করছে’। যাকে অনেকেই আবার ‘নিরব দুর্ব্যবহার’ বলেও অভিযোগ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।