পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাল স্ট্যাম্পসহ গ্রেফতার এক ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে আনার কথা বলে র্যাব পরিচয়ে তার স্ত্রীর কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানান র্যাব-৭ চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা। তারা হলেন- রুবেল হোসেন (৪২), তার ছোট ভাই মানিক হোসেন (৩৮), নজরুল ইসলাম (৪৫), মিজানুর রহমান (৩৪), মো. নীরব (২১) ও আবু তৈয়ব সিদ্দিকী ওরফে মিঠু (৪৯)। র্যাবের দাবি, তারা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। কখনও সাংবাদিক, কখনও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন। গত ২৬ জুন নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্পসহ ইদ্রিস পাটোয়ারি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। সেই অভিযানে র্যাবকে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছিল নজরুল, মিজানুর ও নীরব। তারা তিনজন ইদ্রিসের বিষয়ে সবকিছু জানতেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের নম্বর ছিল। যার কারণে তারা র্যাবকে তথ্য দিয়েছিল জাল স্ট্যাম্পের বিষয়ে।
র্যাবকে সহায়তার পর গ্রেফতার ইদ্রিসের স্ত্রীর কাছ থেকে তারা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, তারা তিনজন রুবেলকে দিয়ে র্যাব পরিচয়ে ইদ্রিসের স্ত্রীকে ফোন করে টাকার বিনিময়ে তাকে ছাড়ানোর কথা বলেন। রুবেল নিজেকে র্যাব-৭ এর ক্যাম্প কমান্ডারের গাড়িচালক পরিচয়ে ইদ্রিসের স্ত্রীকে ফোন করে জানান, তার স্বামীর কাছে কোনো জাল স্ট্যাম্প পাওয়া যায়নি। তাই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে, যার জন্য পাঁচ লাখ টাকা প্রয়োজন। ইদ্রিসের স্ত্রী এত টাকা দিতে পারবেন না জানালে এক পর্যায়ে এক লাখ টাকা দাবি করেন তারা; যদিও পরে দুই পক্ষ ৭০ হাজার টাকায় সম্মত হয়। র্যাব জানায়, রুবেলের দেওয়া পাঁচটি নম্বরে ইদ্রিসের স্ত্রী মোট ৭০ হাজার টাকা পাঠান। কিন্তু পরদিন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ইদ্রিসের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রুবেলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে টালবাহানা শুরু করেন।
এদিকে র্যাবের নামে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব খোঁজ নেওয়া শুরু করে এবং এর সত্যতা পায়। পরবর্তীতে বায়েজিদ এলাকায় রুবেলের অবস্থান নিশ্চিত করে তাকেসহ অন্যদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। রুবেল ও মানিকের বিরুদ্ধে সাধারণ লোকজনকে মামলায় ফাঁসানো এবং ছাড়িয়ে নেওয়ার নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অনেক অভিযোগ আছে। জাল স্ট্যাম্পসহ গ্রেফতার ইদ্রিস কারাগারে রয়েছেন। র্যাব পরিচয়ে তার পরিবারের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ওই ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।