পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যেই নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করল ব্রিটেনের অজানা রোগ। এ নতুন রোগের নমুনায় পোলিওর লক্ষণ পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে। ব্রিটেনের ইতিহাসে ৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এখনই এ অজানা রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে করোনার মতো বিশ্বের অন্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ব্রিটেনের একটি ওয়েবসাইট জানিয়েছে, গত ৬ মাসে দেশে করোনার পাশাপাশি কলেরা, হাম এবং মাঙ্কিপক্সের মতো রোগের প্রাদপর্ভাব বেড়েছে। আর এই সংক্রমণে আক্রান্তদের সমধ্যে পোলিওর লক্ষণ পাওয়া গেছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ বলে ওয়েবসাইটটিতে জানানো হয়েছে। চল্লিশ বছর আগে শেষবার পোলিও রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল ব্রিটেনে। এত বছর পর ফের পোলিওর লক্ষণ দেখা দেওয়ায়, সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার ওপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে চিকিৎসকরা এই অজানা রোগের নাম দিয়েছেন ডিজিজ এক্স। শিশুদের মধ্যে এ রোগ বেশি সংক্রমিত হতে পারে। করোনাভাইরাসের মতো এটিও অত্যন্ত সংক্রামক বলে মনে করছেন তারা। সবচেয়ে আশঙ্কার কারণ, রোগের কারণ এবং কীভাবে ছড়ায় এ ব্যাপারে চিকিৎসকরা এখনও পর্যন্ত অন্ধকারে। যতক্ষণ পর্যন্ত এ রোগের গবেষণার পর ওষুধ না পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ শিশুদের পোলিও টিকা দেওয়া যাতে বন্ধ না হয়, সেই পরামর্শ দেয়া হয়েছে। টিকাই এখন এ রোগ প্রতিরোধের একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
গত দুই বছরের করোনা অতিমারিতে বিপর্যস্ত ব্রিটেন। সংক্রমণের পাশাপাশি প্রাণ কেড়েছে বহু মানুষের। তার প্রভাব পড়েছে ব্রিটিশ অর্থনীতিতে। করোনা প্রকোপ কমতেই নতুন করে ব্রিটেনে দোসর হয়েছে মাঙ্কিপক্স। চলতি বছরের ফেব্রæয়ারি মাসে লাসা ফিভার-এ আক্রান্ত হয়ে ব্রিটেনে তিন জনের মৃত্যু হয়। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকদের মতে, লাসা ফিভার অতিমারীর আকার ধারণ করতে পারে। তবে, ১৯৮০ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ব্রিটেনে এ রোগের হদিস পাওয়া গিয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পশুদের মাধ্যমে সংক্রমিত হয় লাসা ফিভার। আর এই রোগের মূল লক্ষণ শরীর থেকে রক্তক্ষরণ। তারই মধ্যে অজানা রোগ ডিজিজ এক্স নতুন করে ব্রিটিশদের মধ্যে তৈরি করেছে আতঙ্ক। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।