ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
যুগ আসে যুগ চলে যায়। কোনো যুগ সার্থকতায় পরিপূর্ণ আবার কোনো যুগ ব্যর্থতায় ভরা। যে যুগে জনাব ইউসুফ আলী চৌধুরী মোহন মিয়া তার কর্মমুখর জীবনের পথে যাত্রা শুরু করেছিলেন সে যুগ ছিল সাফল্যে পরিপূর্ণ। সাহিত্য, সমাজ, রাজনীতি কোনো ক্ষেত্রেই শূন্যতা ছিল না। অভাব ছিল না সুযোগ্য নেতৃত্বের। সেদিনের রাজনৈতিক অঙ্গনে মোহন মিয়া, ছিলেন এক সুযোগ্য এবং বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। আমার ছাত্র জীবনে আমি তাকে দূর থেকে দেখেছি। কিন্তু কর্মজীবনে অতি কাছে থেকে তাকে দেখার এবং জানার সুযোগ হয়েছিল আমার। রাজনীতিবিদ মোহন মিয়া ব্যক্তি মোহন মিয়া তথা মানুষ মোহন মিয়ার সঠিক মূল্যায়ন করার সাধ্য আমার নেই। তার সম্পর্কে আমার যা কিছু মূল্যায়ন তা একান্তই আমার নিজস্ব অনুভূতির সীমানায় আবদ্ধ, তাকে ভাষা দিয়ে প্রকাশ করার মতো পা-িত্য আমার নেই। প্রাসাদে জন্ম নিয়েও জীবনের রাজপথ ছেড়ে তিনি নেমে এসেছিলেন জনতার পায়ে চলার পথে। প্রাণ দিয়ে ভালোবেসেছিলেন এই বাংলার মাটি ও মানুষকে। তার রাজনৈতিক দর্শনের মূল কথা ছিল মানবতাবাদ। তবে সেটা এটা এম এন রায়ের (Radical humanism) নয়। বর্তমান এই পুঁজিবাদ প্রভাবিত বিশ্বে চূড়ান্ত মানবতাবাদের স্তরে হয়তো কোনো দিনই আমরা পৌঁছাতে পারব না। এ কথা আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি। মোহন মিয়া পুঁজিবাদ বা কমিউনিজম কোনোটিতেই বিশ্বাস করতেন না। তিনি কল্পনা করতেন এক লোকাশ্রিত গণতন্ত্রের যার লক্ষ্য ছিল গ্রামবাংলার উন্নতি। বহু দিন বহু ক্লান্ত অবসরে তিনি এই গ্রামবাংলার কৃষক শ্রমিকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের মাঝে আলোচনা করতেন। তৎকালীন দৈনিক আজাদ পত্রিকায় বাংলার কৃষি উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে তার লেখা একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল।
পৃথিবীতে ভিন্নমত ও ভিন্ন পথ চিরকাল ছিল, চিরকাল থাকবে। কখনো তা বস্তগত, কখনো ভাবগত আবার কখনো আদর্শগত। এর ফলে মানুষে সঙ্গে মানুষের অনেক সময় সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু মানবিক সম্পর্কে কোনো দিনই বিচ্ছিন্ন হয়না। ইউসুফ আলী চৌধুরীর সঙ্গে আমার ছিল একটি আত্মিক ও মানবিক সম্পর্ক। জনাব চৌধুরীর সঙ্গে রয়েছে আমার বহুদিনের বহু স্মৃতিময় মুহূর্ত। অনেক দিনের অনেক কথা বিস্মৃতির অতল তলে হারিয়ে গেছে। ফেলে আসা দিনের স্মৃতির পাতা থেকে আজ দু-একটা কথাই বলতে চেষ্টা করব। বিরাট মিছিলের পুরোভাগে অম্বিকা ময়দানের পাশ দিয়ে মাল্যভূষিত একটি সৌমী শান্ত মানুষ এগিয়ে চলেছেন। জিজ্ঞাসা করে জানলাম ইনিই ফরিদপুরের জনপ্রিয় নেতা মোহন মিয়া। সালটা ঠিক মনে নেই। ভারতবর্ষ তখন ইংরেজ শাসনাধীন। পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্তির জন্য স্বাধীনতা আন্দোলনের দুর্বার ঢেউ দিল্লি থেকে তখন সমগ্র ভারতের প্রান্তে প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। ফরিদপুরে সেই গণআন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউসুফ আলী চৌধুরী মোহন মিয়া। তার পর দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটেছে, জন্ম নিয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম পাকিস্তান। শিক্ষা সমাপন শেষে আমি ফিরে এসেছি ফদিরপুরে। শুরু করেছি আমার কর্মজীবন।
১৯৬৪ সালে পাকিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী একদিকে সরকারি দলের মনোনীত ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মদ আইয়ুব খান, অন্যদিকে সম্মিলিত বিরোধী দলের মনোনীত প্রার্থী পাকিস্তানের জাতির পিতা কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ভগ্নি মাদারে মিল্লাত মিস ফাতেমা জিন্নাহ। গণতন্ত্র উদ্ধারের সেই আন্দোলনে ফরিদপুরের গণতন্ত্রকামী বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা ও কর্মীরা Combined opposition Party (C.O.P)-এর অধীনে ফাতেমা জিন্নাহর পক্ষে প্রচার অভিযানে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। আমিও তাদের সঙ্গে একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে শামিল হয়েছি।
এ সময় একদিন আলীপুরে বাবু কিরণ লাহিড়ীর বাসায় মোহন মিয়ার সঙ্গে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো। তিনি আমাকে ময়েজ মঞ্জিলে তার সাথে দেখা করতে বললেন। আমি দেখা করলাম। তারপর ক্রমে ক্রমে তার সঙ্গে রাজনৈতিক অঙ্গনে আমার পরিক্রমা শুরু হলো। আমার জীবনে প্রথম যে রাজনৈতিক মঞ্চে বক্তৃতা দেই সে মঞ্চ ছিল মোহন মিয়ার। জনসভার স্থান কানাইপুর। সভাপতি মোহন মিয়া। প্রধান বক্তা আমি। মোহন মিয়ার জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ায় সেদিনের যে অনুভূতি আজ আমি তা ভাষায় ব্যক্ত করতে পারব না। তিনি আমার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিলেন। সে কথা মনে হলে আজও রোমাঞ্চিত হই, গর্ববোধ করি। এ প্রসঙ্গে একটি কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন। সে সময় ফরিদপুরের C.O.P -এর নেতারা মোহন মিয়া সাহেবকে আমন্ত্রণ জানাননি। কারণ যতদূর আমার মনে পড়ে মোহন মিয়া সাহেবের বড় ভাই জনাব আবদুল্লাহ জহিরউদ্দিন (লাল মিয়া) সাহেব তখন পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রিত্বে আসীন। তাই C.O.P এর নেতারা মনে করতেন মোহন মিয়া সাহেব হয়তো আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে কথা বলবেন না। প্রকৃতপক্ষে তাদের সে ধারণা সঠিক ছিল না। মোহন মিয়া ছিলেন সত্যিকার গণতন্ত্রকামী মহান পুরুষ। ন্যায়নীতির ক্ষেত্রে তিনি কখনও কারো সাথে আপস করেননি।
এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনার কথা মনে পড়েছে। নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট আইয়ুবের জয়লাভের পর দীর্ঘদিন কেটে গেছে। আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে, তার মৌলিক গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন শুরু হয়েছে। সে আন্দোলন ক্রমেই বিস্তৃতে লাভ করছে। সংগ্রামী রূপ নিচ্ছে। এই সময় করাচিতে Round Table Conference এর আয়োজন করেন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান সাহেব। পূর্ব পাকিস্তানের সব রাজনৈতিক নেতাকে আমন্ত্রণ জানান সেই বৈঠকে যোগ দিতে। উদ্দেশ্য আন্দোলনের গতিরোধ করা এবং একটি মীমাংসায় পৌঁছানো। গোলটেবিল বৈঠকের বেশ আগে হঠাৎ করে আইয়ুব খান সাহেব P.D.P (Pakistan Decoratic Party)-এর তিন নেতা মোহন মিয়া, নুরুল আমিন এবং সালাম খানকে করাচিতে যাওয়ার আমন্ত্রণ পাঠালেন, সেই সঙ্গে যাওয়ার বিমানের টিকিট। উদ্দেশ্য গোলটেবিলে একটা সমঝোতায় পৌঁছানোর ভিত্তি তৈরি করার ব্যাপারে মোহন মিয়া কিছু প্রস্তাব রেখেছিলেন। এই প্রস্তাব গ্রহণ করা না করার ব্যাপারে মোহন মিয়া সাহেবের সঙ্গে অন্যদের মতের মিল হচ্ছিল না। করাচি যাওয়ার ২/৩ দিন আগে তিনি হঠাৎ করে ফরিদপুর এলেন এবং সেই দিনই রাত ১১টায় মধুকে দিয়ে আমাকে ডেকে পাঠালেন। তখনও বাসায় অনেক লোকজন ছিল। সবাইকে বিদায় দিয়ে মধু এবং আমাকে সামনে বসিয়ে অনেকক্ষণ প্রস্তাবগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলেন। আলোচনা শেষে এ ব্যাপারে তিনি আমার মতামত জানতে চাইলেন। আমি স্বার্থহীনভাবে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পক্ষে আমার মতামত জানালাম। আমার মতের সঙ্গে তার চিন্তাধারা হুবহু মিলে যাওয়ায় খুব খুশি হলেন। পরের দিন ঢাকা চলে যান। বলাবাহুল্য, আইয়ুব খানের প্রস্তাব চ.উ.চ নেতারা গ্রহণ করেননি এবং গোলটেবিল বৈঠকও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছিল। মোহন মিয়া সাহেব জনগণের অধিকারের বিনিময়ে তথা গণতন্ত্রের বিনিময়ে কোনো আপস ফর্মুলা কোনো দিনই গ্রহণ করেননি।
মোহন মিয়া সাহেব তাই নিজেই এককভাবে ফাতেমা জিন্নাহর পক্ষে প্রচার অভিযানে অবতীর্ণ হন। তার সেই অভিযানে আমি ছিলাম প্রধান সাথী। ক্রমে ক্রমে অ্যাডভোকেট মুজিবর রহমান খান, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোশারফ হোসেন, চাঁদপুরের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক এবং আরও অনেকে এসে মোহন মিয়ার সাথে যোগ দেন। ফরিদপুর সদরে নির্বাচনী ফলাফলে ফাতেমা জিন্নাহ তার প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে ভোট বেশি পান। এর পেছনে মোহন মিয়ার অবদান ছিল প্রচুর। নির্বাচনের শেষ মাসটিতে আমরা বিভিন্ন থানা পর্যন্ত মোট এগারটি জনসভা করি। এই জনসভাগুলোর আয়োজনে একজনের নিরলস শ্রমের কথা উল্লেখের দাবি রাখে। সে হচ্ছে কোমরপুরের মোহাম্মদ আলী ও মধু মিয়া। মধু বেশির ভাগ সময় পায়জামা পরত, কখনও কখনও প্যান্ট পরে আসত। মোহন মিয়া সাহেব তাকে আদর করে পেন্টসু বলে ডাকতেন। মধুকে তিনি অশেষ ¯েœহ করতেন। মোহন মিয়া সাহেবের সঙ্গে মফস্বলের গ্রামেগঞ্জে ঘুরে ঘুরে অনেক অভিজ্ঞতা লাভ করি। সেই সাথে তাকে খুব কাছ থেকে জানার সুযোগ পাই। পথে চলতে চলতে অনেক সময় আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। কিন্তু মোহন মিয়া সাহেবকে কখনও ক্লান্ত হতে দেখেনি। অপরিমেয় প্রাণ শক্তির অধিকারী ছিলেন তিনি।
স্বাস্থ্যগত দিক থেকে তিনি যে খুব সুস্থ ছিলেন তা নয়। তার High blood pressure ছিল। এ সত্ত্বেও তাকে সব সময় হাসিখুশি দেখেছি। মাঝে মাঝে তিনি সুন্দর humour করতেন। তার সঙ্গে এক টেবিলে বসে খানাপিনার সুযোগ আমার অনেকবার হয়েছে। টেবিলে বসার আগে তিনি তার blood pressureএবং Diet Control এর কথা বার বার হাসতে হাসতে বলতেন। কিন্তু খানাপিনা করার সময় Diet Control এর কোনো লক্ষণ আমি দেখিনি। আসলে স্বাস্থ্যের প্রতি তিনি মোটেই যত্ববান ছিলেন না। নিজের প্রতি মমত্ববোধ তার খুবই কম ছিল। যারা সত্যিকার দেশপ্রেমিক, মানুষের কল্যাণে যারা উৎসর্গীকৃত, নিজের প্রতি মমত্ববোধ তাদের থাকে খুবই কম। বোয়ালমারী জনসভার পর শেষ রাতের গাড়িতে আমরা ফিরছিলাম। ট্রেনে উঠেই ক্লান্তিতে আমাদের ঘুম পাচ্ছিল কিন্তু মোহন মিয়া সাহেবের মধ্যে ক্লান্তির লেশমাত্র চিহ্ন নেই। তিনি আমাদের অবস্থা বুঝতে পেরে হঠাৎ হাসির গল্প শুরু করে দিলেন। গল্প শুনতে শুনতে আমরা মধুখালী স্টেশনে পৌঁছে গেলাম। পরের দিন বালিয়াকান্দীতে আমাদের নির্ধারিত জনসভা। আমি এতই অসুস্থবোধ করছিলাম যে, বালিকান্দী না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু সামনাসামনি মোহন মিয়া সাহেবকে কথাটা বলতে সাহস পাচ্ছিলাম না। তাই মধুকে বলে মধুখালী Platform এ নামার কথা বলে ফরিদপুর চলে আসি। অবশ্য পরবর্তীকালে খানখানাপুরের জনসভায় যোগ দেই। খানখানাপুর সভা শেষে রাজবাড়ী থেকে আসা একদল ছাত্র মোহন মিয়ার সামনে তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর অনেকগুলো কঠিন প্রশ্ন রাখে। প্রশ্নগুলো তিনি মাইকে একের পর এক জবাব দিয়ে যান। আমি অবাক হই। ছাত্ররা খুশি হয়ে মোহন মিয়া জিন্দাবাদ ধ্বনি দিতে দিতে চলে যায়। সর্বশেষ জনসভা করি আমরা সদরপুর। সভাশেষে যতদূর মনে পড়ে মীর সাহেবদের বাড়িতে সন্ধ্যায় আমরা উপস্থিত হই। সেখানেই আমাদের রাতের আহারের ব্যবস্থা হয়েছিল। বাড়ির আঙ্গিনায় পৌঁছেই তিনি গৃহকর্তা, পরিবারের লোকজন, আত্মীয়স্বজন এবং গ্রামের অন্যান্য লোকজনের প্রত্যেকের নাম উল্লেখ করে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। তার সঙ্গে যেখানেই গিয়েছি দেখেছি অসংখ্য লোককে তিনি চেনেন এবং তাদের নামধাম তার মুখস্থ। অসাধারণ ছিল তার স্মৃতিশক্তি। না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।
তার সহনশীলতাও ছিল অসাধারণ। প্রতিদিন ময়েজ মঞ্জিলে সকাল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত অসংখ্য লোক তার কাছে আসতেন নানা আবেদন-নিবেদন নিয়ে। তিনি সকলের কথা শুনতেন, কখনো বিরক্ত হননি। কাউকে ফিরিয়ে দেননি। চেষ্টা করেছেন সকলকেই সাধ্যমতো সাহায্য করতে। তার এই অসীম ধৈর্য, সীমাহীন সহনশীলতা শুধু দুর্লভ নয়, তুলনাবিহীন।
বি.ডি মেয়র (মৌলিক গণতন্ত্রী)-দের সঙ্গে আলাপ করার সময় আমি দেখেছি অতি সহজেই তিনি তাদের মত পরিবর্তন করে সপক্ষে আনতে পারতেন। প্রতিকূলকে অনুকূল করে তোলার এক অসাধারণ ক্ষমতা ছিল তার। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন Expansion is life, Contraction is death. ব্যাপ্তি ও গতিময়তাই মোহন মিয়ার জীবন। তার সুবিশাল বহুধা বিস্তৃত রাজনৈতিক জীবনের অতি সামান্য আমি জানি। আমি যা জানি সেটা একটা ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ মাত্র। মোহন মিয়ার চরিত্রের একটি বিশিষ্ট দিক, সেটা হচ্ছে তিনি ছিলেন শতকরা একশত ভাগ অসাম্প্রদায়িক। ফরিদপুরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তিনি ছিলেন পরম শ্রদ্ধাভাজন, একান্ত প্রিয়জন, একান্ত আপনজন। মহাকাল অনেক কিছু দেয় কিন্তু জীবনে এমন কিছু স্মৃতি এমন কিছু কথা থাকে যা কোনো কালের প্রভাবে ম্লান হয় না। আমার প্রতি মোহন মিয়া সাহেবের অপার ¯েœহের আনন্দময় স্মৃতি আমার মনের মণিকোঠায় তাই থাকবে চিরম্লান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।