Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সহায়তা চায় ঢাকা

বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান ও নীতিতে সমর্থন রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের। এছাড়া এ সমস্যা সমাধানের জন্যে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। তবে বার্মার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন বিদেশি কূটনীতিকরা। গতকাল বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন। ব্রিফিং-এ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সব দেশ, চীন, জাপান, তুরস্ক, ভারত, মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশ এবং মিয়ানমার ব্যতীত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও মিশন প্রধানরা ও জাতিসংঘ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা ও রেড ক্রসের কর্মকর্তারাও অংশ নেন।
পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিং-এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কূটনীতিকদের রোহিঙ্গা নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। তাদের মতামত জানার চেষ্টা করেছি।  সেখানকার সমস্যা শান্তিপূর্ণ সমাধানে বাংলাদেশের সহযোগিতা করার ইচ্ছার বিষয়টি কূটনীতিকদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার মনোভাব দেখিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এছাড়া মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ ও সম্পর্ক আছে। আমরা এক সঙ্গে বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডোরে আছি। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের ভেতর দিয়ে চীনের কুনমিং পর্যন্ত সড়ক ও রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে। মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক সরকার আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুইবার অং সাং সুচির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আমি ও পররাষ্ট্র সচিব অসংখ্যবার আলোচনা করেছি। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে চাই। মন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থানে কূটনীতিকরা সমর্থন দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনীতিকদের জানান, গত ৯ অক্টোবর আরাকান (রাখাইন) রাজ্যে সহিংসতা শুরু হবার পর বাংলাদেশ স্বেচ্ছায় সহযোগিতার উদ্যোগ নিয়েছে। দায়িত্বশীল প্রতিবেশি হিসাবে তথ্য ও অন্যান্য সহায়তা দিয়েছে। কিন্তু উদ্বেগের ব্যাপার হল আরাকানের মুসলমানরা নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে। বাংলাদেশ মনে করে আরাকানে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে ও রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে মিয়ানমার।
এদিকে বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক হয়ে ওঠবে এবং বাংলাদেশে যেসব মিয়ানমারের নাগরিক অস্থায়ীভাবে শেল্টার নিয়েছেন, তারা তাদের মাতৃভূমিতে কোনও ভয়ভীতি ছাড়াই ফেরত যাবে।
এছাড়া, বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী রবার্ট ওয়াটকিন মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের ক্রমবর্ধমান খারাপ পরিস্থিতির বিষয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ