Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুষ্ঠু ভোটের জন্য প্রয়োজন নিরপেক্ষ প্রশাসন -সাখাওয়াত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (এনসিসি) নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যতার জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসন দরকার বলে দাবি করেছেন বিএনপিধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর তিনি এ দাবির কথা জানান। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আপনারা ইতঃপূর্বে দেখেছেন প্রশাসনের কারণে নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনা ঘটেছিল। সুতরাং এখানে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসন দরকার। আমরা বলতে চাই, সারাদেশের গণতন্ত্র যে ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল, সেটা নারায়ণগঞ্জ থেকে পুনরুদ্ধার হবে। গণতন্ত্রে ফিরতে দেশের মানুষের যে আশা-আকাক্সক্ষা তা নারায়ণগঞ্জ থেকে পূরণ হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জেলা বারের সাবেক এ সভাপতি বলেন, নারায়ণগঞ্জে দু’টি প্রতীকে ভোট হচ্ছে। একটি হচ্ছে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করার প্রতীক নৌকা। আরেকটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের প্রতীক ধানের শীষ
সাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, আজকে সিটি নির্বাচনে আমার প্রতিপক্ষের (আইভী) যোগ্যতা যতটুকু আছে, তার চেয়ে আমার যোগ্যতা কম নেই। আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর সুখে-দুঃখে সব সময় পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি অ্যাড: আবুল কালাম, নগর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল, বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল।
এদিকে, নগর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল বলেন, এবারের এনসিসি নির্বাচন স্বৈরাচারীর কালোহাত ভেঙে দেয়া ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নির্বাচন। এই নির্বাচন কোনো ব্যক্তির নির্বাচন নয়। এই নির্বাচন ধানের শীষের নির্বাচন। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে আমরা এখন সব নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ। অপরদিকে এনসিসি নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণের সংবাদ পেয়ে নেতাকর্মীরা তাদের সব ভেদাভেদ ভুলে উৎসাহ-উদ্দীপ্ত হয়ে উঠেছেন। নবজাগরণ দেখা দিয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে।
এদিকে, গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে সকাল থেকেই রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সামনে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। সকাল ৯টার আগেই মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার জন্য নেতাকর্মী নিয়ে প্রার্থীরা নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সামনে অবস্থান করেন। পরে সকাল ৯টায় মনোনয়ন গ্রহণ শুরু হলে একে একে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন জমা দিতে শুরু করেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৯ জন সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেনÑ আওয়ামী লীগ মনোনীত সেলিনা হায়াৎ আইভী, বিএনপি মনোনীত অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি মাসুম বিল্লাহ, জাসদের মোসলেম উদ্দিন, এলডিপির কামাল প্রধান, কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ‘কথিত বিএনপি নেতা’ অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ, জাপা নেতা মেজবাহ উদ্দিন ভুলু। এছাড়া সংরক্ষিত (নারী) কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২২ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র জমা নেয়ার শেষ দিন ছিল গতকাল পর্যন্ত। ২৬ ও ২৭ নভেম্বর বাছাই হবে। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে।
এ সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুসারে মেয়াদ পূর্তির ৬ মাস বা ১৮০ দিন আগে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। সে হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কাউন্ট-ডাউন শুরু হয় গত ৩০ জুন  থেকে। এ সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড রয়েছে ২৭টি এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে ৯টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩ হাজার ৭০৬ জন (আগের নির্বাচনের হিসাব অনুযায়ী)। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৩ হাজার ৯৬ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৬১০ জন। এবারের নির্বাচন দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ