পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বার্মা (মিয়ানমার) থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা সব রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ ফিরিয়ে দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম মাহমুদ আলী। তিনি বলেছেন, যারা আসছে তাদের সবাইকে ফিরিয়ে দেয়াও সম্ভব হচ্ছে না। মানবিক কারণে বাংলাদেশে প্রবেশ করা কিছু কিছু রোহিঙ্গাকে চিকিৎসা ও খাবার দেয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাঙ্গেরি সফর উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বার্মার আরাকান (রাখাইন) রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযানের পর বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসার ঘটনা বেড়েছে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সরকার সীমান্তে পাহারা জোরদার করলেও রোহিঙ্গারা দলবেঁধে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। এই ঘটনায় বাংলাদেশে বার্মার দূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে সরকার। কক্সবাজারে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বৈঠকও হয়েছে। ৮০-এর দশক থেকেই মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসার ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশে দুটি শরণার্থী শিবিরে ৩০ হাজার তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা বসবাস করলেও অনিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ বলে ধারণা করা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আরাকানে রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিয়ে মানবিক সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের ওপর চাপ দিতে বলছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত দুর্গম হওয়ায় রোহিঙ্গাদের সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছে না। তবে নতুন করে আরো কোনো রোহিঙ্গার নাম নিবন্ধন করা হবে না। তবে যারা বর্তমানে আছে তাদের একটি শুমারি করা হচ্ছে। এর ফলাফল আগামী মাসে প্রকাশ হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর হাঙ্গেরী সফর নিয়ে মাহমুদ আলী জানান, আগামী ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বর হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে পানি সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি হবে হাঙ্গেরিতে তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। এ সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে থাকবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম ও আমি। এছাড়া সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ছাড়াও বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলও প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন।
মন্ত্রী বলেন, এই সফরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, কৃষি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার প্রসার নিয়েও কথা হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রপ্তানিবাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর সদস্য হওয়া সত্ত্বেও হাঙ্গেরির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যর পরিমাণ এখনও তেমন বাড়েনি। এই অবস্থায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ এই সফরের অন্যতম লক্ষ্য।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে গঠিত পানিবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল-এর সম্মানিত সদস্য। এ প্যানেলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন মরিশাস, মেক্সিকো, হাঙ্গেরী, দক্ষিণ আফ্রিকা, তাজিকিস্তান, পেরু ও সেনেগালের প্রেসিডেন্ট এবং অস্ট্রেলিয়া, জর্ডান ও নেদারল্যান্ডস-এর প্রধানমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এ সফরে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উভয় দেশের মধ্যে ৪টি দ্বিপাক্ষিক দলিল স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।