Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার বালিয়াকান্দিতে ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কপি চাষিরা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নটাপাড়া ও নবাবপুর ইউনিয়নের দিলালপুর গ্রামে অতিরিক্ত সার ব্যবহার করে আগাম কপি চাষ করে লোকসানের মুখে পড়ে ১০জন কৃষক। পরে কোঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে কপি চাষ করে এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। মাথায় হাত থেকে এখন মুখে হাঁসি ফুটেছে।
জানাগেছে, উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের দিলালপুর ও জামালপুর ইউনিয়নের নটাপাড়া গ্রামের স্বপন, কালিপদ, বিধান বৈরাগী, অচিন্ত, গোবিন্দসহ ১০জন কৃষক কপি চাষ করে। অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার করায় কপি ক্ষেতে পচন লাগে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। পরে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে কোঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে এখন তারা লাভবান হচ্ছে। কপির বাম্পার ফলন হয়েছে। তাতে ক্ষতি পুষিয়ে এখন লাভের মুখ দেখছে। অচিন্ত কুমার মোদক জানান, তার ৩০শতাংশ জমিতে ফুল কপির আগাম চাষ করেন। কেচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে চাষাবাদ করেন আগাম ফুল কপি চাষ। প্রতি বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে ১৭-১৮ হাজার টাকা। বর্তমান বাজার মুল্যে এ ক্ষেতের উৎপাদিত কপি বিক্রি করে ৩০ থেকে ৩৬ হাজার টাকা বিক্রি হবে। এ বছর কেচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করায় ফুল কপির বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে আগাম বাজারে কপি বিক্রি করতে পারছেন।
স্বপন, কালিপদ, বিধান বৈরাগী জানান, তারা কপি চাষ করেন রাসায়নিক সার দিয়ে। ক্ষেতে পচে নষ্ট হওয়ার কারণে হতাশা বিরাজ করছিল। উপজেলা কৃষি অফিসার সাখাওয়াত হোসেন ও পল্লী বন্ধু কৃষি সংযোগের পরিচালক রুহুল আমিন বুলুর পরামর্শক্রমে কোঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে এখন কপির বাম্পার ফলন হচ্ছে। এ কপির বাজারে চাহিদাও ভালো রয়েছে।
পল্লী বন্ধু কৃষি সংযোগের পরিচালক রুহুল আমিন জানান, তিনি প্রায় ১ বছর ধরে আড়কান্দি, চরগুয়াদাহ, দিলালপুর গ্রামে কেচো কম্পোস্ট সার উৎপাদন করছেন। দিন দিন এ সারের চাহিদা কৃষকদের মাঝে বাড়ছে। এতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাখাওয়াত হোসেন জানান, চলতি বছর বালিয়াকান্দি উপজেলার দিলালপুর ও নটাপাড়া এলাকায় ২৫ একর জমিতে আগাম ফুল কপি ও পাতা কপির চাষ হয়েছে। প্রথম দিকে কপি পচে নষ্ট হলেও অনেকেই কেচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে বাম্পার ফলন হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ