পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্যাংক ছাড়াও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ঋণ শোধে আরও ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে আদায়যোগ্য ঋণের নূন্যতম ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলে খেলাপি করা যাবে না। এ সুবিধা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে মঙ্গলবার (২৮ জুন) এ নির্দেশনা দেয়া হয়। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক চিহ্নিত বন্যা কবলিত জেলায় কৃষি ঋণ ও সিএমএসএমই ক্ষেত্রেও এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কিস্তির ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলে খেলাপি করা যাবে না। তবে গ্রাহক প্রকৃতপক্ষে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কিনা তা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিশ্চিত করতে হবে।
সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো সার্কুলারে আরও বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ শ্রেণীকরণে এর আগেও কিছু ছাড় দেয়া হয়। ২০২১ সালের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে ঋণের কিস্তির ন্যূনতম ২৫ শতাংশ শোধ করলে খেলাপি করা হয়নি।
স¤প্রতি নতুন করে করোনাভাইরাসের বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ বেশ কিছু জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলে খেলাপি না করার সুবিধা দেয়া হয়েছে।
এর ফলে কোনো গ্রাহক চলতি বছরের জুন, সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর প্রান্তিকে কিস্তির ৫০ শতাংশ ত্রৈমাসিকের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করলে তিনি খেলাপি হবেন না। সার্কুলারে বলা হয়, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদেরকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এ সুবিধা দেবে। দেরিতে পরিশোধের কারণে কোনো গ্রাহককে খেলাপি করা যাবে না। আবার কোনো ধরনের অতিরিক্ত মাশুল, সুদ বা কমিশন আদায় করা যাবে না। এই নির্দেশনা আনুযায়ী ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে একই নিয়মে শ্রেণীকরণের আওতাভুক্ত হবে। আরও বলা হয়েছে, সার্কুলারের আওতায় সুবিধা পাওয়া ঋণে আরোপিত সুদ আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে।
প্রতি ত্রৈমাসিকের শেষ কর্মদিবসের এ নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণ হিসাবের যথানিয়মে শ্রেণিকরণ করে সিআইবি-তে রিপোর্ট করতে হবে। এ নির্দেশনা শিগগির কার্যকর হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।