পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চার বছর আগে আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনসে আগুনে দগ্ধ অনেক শ্রমিক এখনও ক্ষতিপূরণ পাননি বলে অভিযোগ করেছে কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন। আগুনে শতাধিক শ্রমিকের প্রাণহানির চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (টাফ), কনফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স, বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্ট কর্মচারী লীগসহ কয়েকটি সংগঠন।
মানববন্ধন থেকে শ্রমিকদের ক্ষতি পূরণের অর্থ দ্রুত দেয়ার দাবির পাশাপাশি চার বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ জানানো হয়। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তোবা গ্রুপের মালিকানাধীন তাজরীন ফ্যাশনসের কারখানায় আগুনে সরকারি হিসাবে ১১২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। অগ্নিকা-ে আহত হন দেড় শতাধিক শ্রমিক। আগুন লাগার পর শ্রমিকদের বের হতে না দিয়ে তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছিল বলে সে সময় অভিযোগ ওঠে। এরপর তাজরীন ফ্যাশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার মিতাসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই অগ্নিকা-ের কয়েক মাসের মধ্যে সাভারে বহুতল ভবন রানা প্লাজা ধসে সহ¯্রাধিক শ্রমিকের মৃত্যু ঘটলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। তার ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্র তাদের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা (জিএসপি) বাতিল করে।
মানববন্ধনে জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, আগুনে পোড়া তাজরীন ফ্যাশনসের অনেক শ্রমিক চার বছরেও ক্ষতিপূরণ পায়নি। শ্রমিকরা তাদের ন্যায়সঙ্গত বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, পাচ্ছে না ন্যায্য ক্ষতিপূরণ। তাদের জীবনের নিরাপত্তা, সঠিক পাওনা এবং ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা না গেলে দেশের উন্নয়নকে সভ্য উন্নয়ন বলা যাবে না। আমরা সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে তাদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ব্যবস্থা করুন বলেন তিনি। চার বছর আগের ওই ঘটনাকে ‘দুর্ঘটনা নয়, অবহেলাজনিত শ্রমিক হত্যা’ আখ্যা দিয়ে আমিন বলেন, দায়ীদের দ্রুত বিচার না হওয়ায় এ ধরনের ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশে এ যাবত শতাধিক কারখানায় অগ্নিকা- হয়েছে, কিন্তু শ্রমিক হত্যার দায়ে একজন মালিকেরও বিচার হয়নি। ধনিক ও মালিক শ্রেণির প্রতি সরকারের দুর্বলতার কারণেই এ ধরনের অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলছে।
মানববন্ধনে কনফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স এর আহ্বায়ক শিহাবুল ইসলাম রনি বলেন, তাজরীনের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ না পাওয়া শ্রমিকরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। কিছুসংখ্যক শ্রমিককে লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিলেও বেশিরভাগ শ্রমিক ক্ষতিপূরণ পাননি। তাদের জীবন-যাপন অত্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়ছে, জীবন যাচ্ছে পঙ্গুত্বের দিকে। অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ না পাওয়া শ্রমিকদের তালিকা করে তাদের ‘পাওনা’ বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।