পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রায় তিন মাস ধরে নিখোঁজ থাকলেও সন্ধান মেলেনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর সন্তান বিইউবিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইফাজ আহমেদ চৌধুরীর। নিখোঁজ ছেলের সন্ধান চেয়ে সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন ইফাজের মা জানড়বাতুল ফেরদৌস। তিনি বলেন, ইফাজ নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত আমরা আমাদের সাধ্যমতো তাকে খোঁজার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার সন্তানের কোন সন্ধান পাইনি। ইফাজ নিখোঁজ হওয়ার দিন গত ১১ এপ্রিল সোমবার দুপুর পৌনে ১টায় জোহরের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। এ সময় তার ছোট বোনকে পড়ার জন্য বলে যায়। এবং নামাজ শেষে বাসায় এসে তাকে পড়াবে বলে যায়। দুপুর ২.২৬ মিনিটে ইফাজের স্ত্রী তার ব্যবহৃত নম্বরে ফোন দেয়। কিন্তু ইফাজ ফোন রিসিভ করেনি। এরপর থেকে তাকে ফোন দিলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, ওইদিন বিকাল পার হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো খোঁজ না পেয়ে রাত ৮টায় মিরপুর মডেল থানায় নিখোঁজের ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। জিডি নম্বর- ৭৭৫২। পরবর্তীতে স্থানীয় বিভিনড়ব প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পাই, আমার ছেলে মিরপুর ১ নম্বর এর একটি প্রাণী হাসপাতালে যায়। যেখানে ইফাজ ৩৮ মিনিট অবস্থান করে। ইফাজ যে পথ দিয়ে যায়, ঐ পথ দিয়েই বাসায় ফিরছিল।
সেখানে আমরা একটা কালো মাইক্রোবাস দেখতে পাই। আমাদের সন্দেহ ওই কালো মাইক্রোবাসে আমার ছেলেকে উঠিয়ে নিয়েছে। এদিকে থানা থেকে আমাদের জানানো হয়, গত ২ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ইফাজ এর কললিস্ট পাওয়া যায়নি। কিন্তু এসময়ের মধ্যে পরিবারের সদস্য ও তার বন্ধুদের সাথে একাধিকবার কথা হয়েছে যার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। সেদিন রাতেই আমরা জিডির কপি নিয়ে র্যাব-৪ এ যোগাযোগ করি। আমাদের আশ্বস্ত করা হয় যে পরদিন ১২টার মধ্যে আমরা একটা সংবাদ পাবো। কিন্তু তারা এ পর্যন্ত কোন সন্ধান দেয়নি। ইফাজের মা বলেন, গত ১৩ এপ্রিল সকালে আমার বাবা কাজী মোমিন উদ্দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় গিয়ে সাক্ষাত করেন। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিরপুর থানা এবং র্যাব-৪ কে গুরুত্ব সহকারে তদন্তের জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দেন। এরপর আমরা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিসি) মশিউর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাত করি। এরপর উনি একজন সহকারী কমিশনারকে (খলিল সাহেব) বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য নির্দেশ দেন। প্রায় দেড় মাস পরে তারা জানায়, ইফাজকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়েছে, এরপর থেকে আমি পুনরায় থানা পুলিশ, র্যাবসহ বিভিনড়ব জায়গায় যোগাযোগ করি। আমার বাবা পুনরায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যান। সেখানে তিনি র্যাব হেড কোয়ার্টারকে তদন্তের জন্য বলেন। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গেলে তিনি সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেনকে নিখোঁজের ব্যাপারটি তদন্তের নির্দেশ দেন। আমি তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকি। তিনিও ছেলেকে পেয়ে যাব বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত ইফাজের কোন সন্ধান পাইনি। এমনকি ইফাজ নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আমাদের কাছে কোন অর্থ দাবি করেনি। আমার ছেলের সাথে কারও কোন প্রকার শত্রুতাও ছিল না। আমাদের জানা মতে, ইফাজ কোন ধরনের অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত ছিল না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।