পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত আলমগীর হোসেন (২৫) ও ফজলু মিয়া (২৫) নামের দু’জনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে শাহবাগ থানা পুলিশ লাশ দুটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। গত রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পদ্মা সেতুর উপরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হন ফজলু ও আলমগীর। পরে তাদেরকে একটি পিকআপ যোগে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
তাদের বন্ধু জয়দেব রায় জানান, তারা সবাই ঢাকার নবাবগঞ্জ থাকেন। মোটরসাইকেল মেকানিক আলমগীর নবাবগঞ্জের সমসাবাদ এলাকায় থাকে আর বিদেশ ফেরত ফজলু হরিশকুল এলাকায়।
তিনি জানান, পদ্মা সেতু খুলে দেয়ায় তারা তিনটি মোটরসাইকেলে ৬ বন্ধু মিলে সেতুতে ঘুরতে যান। তারা দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে আগে চলে যান। আর তাদের পেছনের দিকের মোটরসাইকেলে ছিলেন ওই ২ জন। কিছুক্ষণ পর তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দুর্ঘটনার খবর পান। সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে উদ্ধার করে একটি পিকআপ ভ্যানে ঢামেকে নিয়ে আসেন।
হাসপাতালে নিহত ফজলু মিয়ার মামাতো ভাই আলী হোসেন জানান, তাদের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জের হরিশকুল গ্রামে। বাবা আবু মিয়া অনেক আগেই মারা গেছেন। মা ফজিলা বেগমকে নিয়ে থাকতেন অবিবাহিত ফজলু। তার আর কোনো ভাই বোন নেই। বেশ কিছুদিন ইরাকে ছিলেন ফজলু। চার মাস আগে দেশে আসেন।
আলী হোসেন আরও জানান, রোববার বিকেলে তার নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। কোথায় যাবে তা কাউকে বলে যায়নি। রাতে জানতে পারি বন্ধুদের সঙ্গে পদ্মা সেতু দেখতে গিয়ে সেখানে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
আর নিহত আলমগীরের বড় ভাই রমজান মিয়া জানান, তাদের বাড়িও নবাবগঞ্জেরর শামসাবাদ এলাকায়। বাবার নাম চিনু মিয়া। আলমগীর নবাবগঞ্জে মোটর মেকানিকের কাজ করতো। রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বের হয়। পরে রাতেই দুর্ঘটনার খবর পাই।
এদিকে দুর্ঘটনার আগে মোটরসাইকেল থেকে ভিডিও করছিলেন পেছনে বসা মো. ফজলু। ভিডিওতে দেখা যায়, অতিরিক্ত গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে সব গাড়ি ওভারটেক করেন তারা। সেতুর ওপর ৬০ কিলোমিটার বেগে মোটরসাইকেল চালানোর নির্দেশনা থাকলেও তারা তা ভঙ্গ করে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে মোটরসাইকেলের গতি ৯০, ৯৫, ১০০ থেকে ১০৫ পর্যন্ত উঠতে দেখা যায়। কিছু সময় পর সেই গতি কমে নেমে আসে ৭০-এ। এরপরই হঠাৎ ডানে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাকের সামনে গিয়ে পড়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।