Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্যার্ত মানুষের জন্য সরকারের ত্রাণ প্রচারসর্বস্ব

বিভিন্ন সংগঠনের ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০২২, ১২:০১ এএম

সিলেট, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন বন্যা দুর্গত অঞ্চলে সামাজিক সংগঠন, সেবা সংস্থা এবং ইসলামী দলের উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ত্রাণ সামগ্রি বিতরণকালে বলেছেন, অসহায় ও দুর্যোগে বিপন্ন মানুষ অসহায় দিনাতিপাত করছে। সরকার বন্যার্তদের জন্য বরাদ্দ করেছে মাত্র ১ কোটি ৩০ লাখ। এভাবে অসহায় মানুষের সাথে তামাশা করছে সরকার। বন্যার্ত মানুষের জন্য সরকারের ত্রাণ তৎপরতা প্রচার সর্বস্ব।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষের মাঝে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর হযরত পীর সাহেব চরমোনাইর পক্ষে হাদিয়া বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। গত দু’দিন বিভিন্ন্ন জেলায় কুড়িগ্রাম, নেত্রকোনা, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলিভীবাজার, বি.বাড়ীয়া, চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে পীর সাহেব চরমোনাইর পক্ষে ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এসব জেলাগুলোতে দলের কয়েকটি টিম কাজ করছে। কুড়িগ্রাম জেলায় ত্রাণ বিতরণ করেন দলের নায়েবে আমীর বগুড়া জামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস আল্লামা আব্দুল হক আজাদ। এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমীরুল ইসলাম পিয়াল, কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল কাদের, ইসলামী যুব আন্দোলনের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক যুবনেতা মাওলানা আব্দুল মুমিন জেহাদী প্রমুখ। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলভাষা, পাঁচগাতি, যাত্রাপুর ভোগাদহ, ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
সোমবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের নেতৃত্বে সিলেটের গোয়াইনঘাট, সুনামগঞ্জ মণিপুরে ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ করেন। ইসলামী আন্দোলনের সহযোগি সংগঠন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৫শত পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ বিতরণকালে দলের নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল হক আজাদ বলেন, ১৮টি জেলায় বন্যা কবলিত এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট। সরকারের পক্ষ থেকে অসহায় মানুষের পক্ষে তেমন কোন সহযোগিতার দেখা মিলছে না। অসহায় ও দুর্যোগে বিপন্ন মানুষ অসহায় দিনাতিপাত করছে। সরকার বন্যার্তদের জন্য বরাদ্দ করেছে মাত্র ১ কোটি ৩০ লাখ। এভাবে অসহায় মানুষের সাথে তামাশা করছে সরকার। সরকার প্রচার সর্বস্ব ত্রাণ বিতরণ করেছে।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন : বন্যার্ত জেলা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে দরিদ্র ও অসহায়দের জন্য বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ও ঔষধ বিতরণ ক্যাম্প গঠন করা হয়। এতে চারজন ডাক্তার ও দুইজন সেবকের মাধ্যমে প্রায় ৬০০ হতদরিদ্র মানুষকে চিকিৎসাসেবা ও ফ্রি ঔষধ বিতরণ করা হয়। উক্ত চিকিৎসা ক্যাম্প পরিচালনায় ছিলেন ঢাকা মহানগরের নায়েবে আমীর মাওলানা মাহবুবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আবুল হাসান কাসেমী, প্রচার সম্পাদক মুফতি জসিম উদ্দিন, আইন সম্পাদক মুফতি মাহফুজুর রহমান সহ আরো অনেকে।
খেলাফত যুব আন্দোলন : বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর তত্ত্বাবধানে দলের কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন এর নেতৃত্বে গত দু’দিন কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্পটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১ হাজার মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহ ১০ লক্ষাধিক টাকার উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ত্রাণের টিমে অংশ নেন খেলাফত আন্দোলন ৫৬ নং ওয়ার্ড সেক্রেটারী মুফতি সাইফুল্লাহ নোমানী, মুফতি ফয়জুল্লাহ বিন মুখতার, মুফতি আব্দুর রহমান সারওয়ার, মুফতি মুহাম্মদুল্লাহ নোমানী, মুফতি আমানুল্লাহ বসন্তপুরী, মুফতি ইসমাইল হুসাইন, মুফতি আব্দুল আউয়াল, মুফতি আবু বকর, মুফতি সিদ্দিকুর রহমান সাইফী ও মাওলানা কামাল উদ্দীন নোমানী।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ : দ্বিতীয় দিনের মতো বন্যা দুর্গত সুনামগঞ্জে ত্রাণ বিতরণ করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান। তিনি সুনামগঞ্জ সদর থানার কাঠুরী ইউনিয়ন, মোহনপুর ইউনিয়ন, বৌরারঙ ইউনিয়ন, লক্ষণশ্রী ইউনিয়ন ও সুনামগঞ্জ পৌরসভায় বন্যা কবলিত নারী পুরুষের মাঝে উত্তরা উলামা মাশায়েখ পরিষদ ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া উলামা পরিষদের সহযোগিতায় এই ত্রাণ বিতরণ করেন। এসময় হেফাজত মহাসচিবের সাথে আরো ছিলেন, ঢাকা মহানগর হেফাজতের সেক্রেটারি মুফতী কেফায়েতুল্লাহ আজহারী।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশ : গতকাল আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা সৈয়দ মসিহুদ্দৌলা পক্ষে শাহজাদা সৈয়দ তাওসিফুল হুদার নেতৃত্বে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি সৈয়দ বাড়ি দরবার পক্ষ থেকে সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের কান্দিগাঁও, বাঘার পাড়, মোল্লারগাঁও, ঘোপাল এলাকায় ১০০০ বানবাসী মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ নুরুল হক চিশতি, মো. জুরু মিয়া, মোহাম্মদ জামশেদ খান, মো. শাহ জালাল, ডাক্তার আজম, মোহাম্মদ বোরহান, মো. জুম্মান আহম্মদ রাহিম, হাফেজ জাহের ,মো. আবুল কাশেম ও মো. সাদ্দাম হোসেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ