পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দুধ উৎপাদনে খামারি ও গাভি-বকনা বাছুর লালন-পালনকভরীদের চার শতাংশ সুদহারে দেয়া ঋণ সমন্বয়ের মেয়াদ বাড়িয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন এ নির্দেশনার ফলে সুদ-ভর্তুকি দেওয়ার পাশাপাশি স্কিমটির মেয়াদ আগামী ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধের সুযোগ পাবেন খামারিরা। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক, আইএফআইসি, মিডল্যান্ড ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠিয়েছে।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ করা ঋণের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুনঃঅর্থায়নকৃত ঋণ আদায়, সমন্বয় ও ব্যাংকগুলোর ক্ষতিপূরণ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্কিমটির মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ স্কিমে প্রচলিত সুদের তুলনায় কম সুদে ঋণ বিতরণ করায় যে পরিমাণ সুদ ক্ষতির সম্মুখীন হবে সে পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক ভর্তুকি দেবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া সুবিধার ফলে এখন থেকে চার শতাংশ সুদহারে ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঋণ নিতে পারবেন খামারিরা। একক ও যৌথ নামে এ ঋণ নেয়া যাবে।
এ স্কিমের আওতায় একটি বকনা বাছুর কেনার জন্য ৪০ হাজার টাকা, লালন-পালনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে ঋণ নেয়া যায়। এর ফলে জামানতবিহীন একজন খামারি সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা (চার বাছুর কেনা বাবদ) ঋণ নিতে পারেন। দেশকে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৫ সালে পাঁচ শতাংশ সুদে ঋণ দিতে একটি পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচি নেয়। এ কর্মসূচির আওতায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংক রেটে পুনঅর্থায়ন সুবিধা পায়। গ্রাহক পর্যায়ে তখন এ ঋণের সুদহার হার ছিল পাঁচ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।