পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের ফেইসবুক ফেইজে (ভ্যারিফাইড) গত ২৫ জুন এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। ডা. শফিক ফেইসবুকে সরাসরি সরকারকে ধন্যবাদ না দিয়ে বা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করে মহান রবের দরবারে শুকরিয়া আদায় করেছেন এবং সেতু নির্মাণে যার যা অবদান তার বিচারের ভার জনগণের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। আসলে তার লেখায় প্রকারান্তরে সরকারকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে বলে রাজনৈতিক বোদ্ধারা মনে করছেন।
ডা. শফিকুর রহমান তার নিজস্ব ফেইসবুক ফেইজে যা লিখেছেন তা হুবুহু তুলে ধরা হলো। তিনি লিখেছেন, ‘যুগ-যুগ ধরে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনগণ রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সাথে যাতায়াত ও যোগাযোগে সীমাহীন কষ্ট স্বীকার করে আসছিলেন। এমনকি মাঝে-মধ্যে ঢাকার উদ্দেশ্যে জরুরী চিকিৎসা নিতে আসা লোকদের কারো কারো মৃত্যু ফেরীঘাটেই হয়েছে। চিন্তা করলে যা খুবই হৃদয় বিদারক। আজ তাদের সে কষ্টের অনেকখানিই অবসান হলো। মহান রবের দরবারে এজন্য শুকরিয়া আদায় করছি, আলহামদুলিল্লাহ।
সেতু নির্মাণে যার যেখানে যতটুকু অবদান কিংবা ভালো-মন্দ, তার বিচারের ভার জনগণের ওপর।
পৃথিবীতে যা কিছুই কল্যাণকর হয়, তার জন্য মহান প্রভুর শুকরিয়া আদায় করাই হচ্ছে মানুষের দায়িত্ব। আর মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞচিত্ত মানুষ বিনয়ী হয়। বিনয় হলো- ভালো মানুষের পোশাক।
মহান আল্লাহ্র দরবারে দো’য়া করি- জনগণের ভ্যাট, ট্যাক্সের অর্থ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের আর্থিক ও কারিগরি অংশগ্রহণে যে সেতু তৈরি হলো, তা জনগণের কল্যাণে নিবেদিত হোক।
কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান, যানবাহনে উচ্চ হারের টোল যেন তাদের পুনর্বিবেচনায় স্থান পায়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।