Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগামীর নেতৃত্বের জন্য নিজেদের তৈরি করো : প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২২, ১২:০১ এএম

আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দিতে নিজেদের যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা-অন্বেষণ ২০২২ সেরা মেধাবীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকের শিশুরা ভবিষ্যতে দেশের কর্ণধার হবে। তারাই আমার মতো প্রধানমন্ত্রী হবে, মন্ত্রী হবে, শিক্ষক হবে, সাংবাদিক হবে। বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থেকে দেশের উন্নতি করবে। কাজেই সেভাবে তারা তৈরি হোক। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। প্রযুক্তি বিজ্ঞানের যে বিকাশ ঘটছে সেই বিকাশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের ছেলেমেয়েদের মধ্যে অনেক মেধা আছে। আমাদের নতুন প্রজন্ম তো প্রযুক্তির যুগে জন্মগ্রহণ করেছে। তাদের ভেতর অনেক মেধা। তাদের সেই সুপ্ত মেধাগুলো অন্বেষণ করতে হবে এবং সেটাই আগামী দিনের বাংলাদেশকে উন্নত করার কাজে ব্যবহার করতে হবে। সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রেখেই আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই।

শেখ হাসিনা বলেন, মনে রাখতে হবে আমাদের দেশটা এখানে থেমে থাকবে না। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করে গিয়েছিলেন। মাঝখানে অনেক ঝড়-ঝাপটা গেছে, ২১ বছর কোনো অগ্রগতি হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসায় দেশ উন্নত হয়। আলহামদুলিল্লাহ আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আমরা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

তিনি বলেন, আজকের শিশুরাই ভবিষ্যতে ৪১-এর কর্ণধার। শুধু ৪১-এ পড়ে থাকলে হবে না। ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ আমরা উদযাপন করব। আর সেইসঙ্গে ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান আমরা করে দিয়ে গেলাম। এই বদ্বীপ আমাদের বাংলাদেশ। বদ্বীপটা যেন প্রজন্মের পর প্রজন্মের জন্য একটা সুন্দর জীবন নিশ্চিত করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ নীতিমালা-২০১২ প্রণয়নের মাধ্যমে ২০১৩ সাল থেকে মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে প্রতিযোগিতাটির নামকরণ হয় বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা। দেশে সকল সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তিনটি গ্রুপে (ষষ্ঠ-অষ্টম, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ) বিভক্ত করে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিযোগিতা। গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিজ্ঞান শিক্ষা, কারিগরি গবেষণা, স্বাস্থ্যের ওপর গবেষণা, আমাদের বিভিন্ন প্রাণিসম্পদের ওপর গবেষণা, কৃষির ওপর গবেষণা, বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণার ওপর সব সময় বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আসলে গবেষণাই পারে আমাদের পথ দেখাতে।

অনুষ্ঠানে ভাষা-সাহিত্য, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, গণিত ও কম্পিউটার, বাংলাদেশ স্টাডিজ এবং বাংলাদেশ স্টাডিজ ও মুক্তিযুদ্ধ (শুধু বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য)সহ মোট পাঁচটি বিষয়ে তিনটি গ্রুপে দেশের ১৫ জন মেধাবীকে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ পুরস্কার দেওয়া হয়। এ বছর এপ্রিল-মে মাসে প্রতিষ্ঠান, উপজেলা, জেলা, বিভাগ এবং জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা মোট ১৩২ জন থেকে বিচারকদের মূল্যায়নে ১৫ জন এবছরের সেরা মেধাবী নির্বাচন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যককে ২ লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট, মেডেল ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. কামাল হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ