Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে বিক্রি হতো ছিনতাই-চোরাই মোবাইল

সাতজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০২২, ১২:০০ এএম

ছিনতাই ও চোরাই মোবাইল ফোন অল্প দামে কিনে আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে চক্রের মূলহোতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতারকৃতরা প্রত্যেকেই মোবাইল ফোন ছিনতাই ও চোর চক্রের সদস্যও। রাজধানীর বনানী এবং সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে চুরি ও ছিনতাই করা মোবাইলের কারবারি চক্রের মূলহোতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব। এ সময় বিপুল পরিমাণ বিভিনড়ব ব্র্যান্ডের দেশি বিদেশি মোবাইলফোন, ট্যাব এবং নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। গতকাল শুক্রবার কারওয়ান বাজারে র ্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান র ্যাব-৩ এর সিও লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, মোবাইল চোর ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় অবৈধ মোবাইল কেনা-বেচায় তৎপর রয়েছে এবং এসব মোবাইল ফোন বিভিনড়ব মার্কেটের সামনে ভাসমান দোকানে গোপনে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা সুকৌশলে নানা সিন্ডিকেট হোতার সঙ্গে যোগসাজশে দেশের বিভিনড়ব স্থান থেকে চুরি এবং ছিনতাই করা মোবাইল ফোন কেনা বেচায় জড়িত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব-৩ এর একটি দল রাজধানীর বনানী এবং সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চুরি ও ছিনতাই করা অবৈধ মোবাইল কারবারি চক্রের সাতজনকে গ্রেফতার করে। তারা হলো-আবুল হোসেন (২৮), নজরুল ইসলাম (৪৬), তাজুউদ্দিন আহম্মেদ (৪৮), মাঈনউদ্দিন (৩০), সুজন মিয়া (২৩), মো. মানিক (৩০) ও লিটন মিয়াকে (৪০)। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ট্যাব ৬৫টি, টাচ মোবাইল ১০১৫টি, বাটন মোবাইল ৩১৭টি, সিমকার্ড ৬টি এবং নগদ ২০ হাজার ২১০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ছিনতাই ও চোরাই মোবাইল ফোনসমূহ অল্প দামে ক্রয় করে আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে সুযোগ বুঝে বেশি দামে বিক্রি করত চক্রটি।
তিনি আরো বলেন, ছিনতাইকারীদের প্রধান টার্গেট থাকে পথচারীদের মোবাইল। এসব মোবাইল কম দামে চোরাই মোবাইল কারবারিদের কাছে বিক্রি করা হয়। এরপর মোবাইলগুলোর আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে বিভিনড়ব চক্রের যোগসাজশে বিভিনড়ব মার্কেটের সামনে ভাসমান দোকানে গোপনে বিক্রি করা হতো। আর এসব চোরাই মোবাইলের মূল ক্রেতা মূলত স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করার কারণে এসব মোবাইল পরবর্তীতে উদ্ধার করা সম্ভব হয় না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ