বন্যাসহ বিভিনড়ব প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে কৃষকের কাছে আগাম কৃষি আবহাওয়া সম্পর্কে তথ্য পৌঁছানো এবং তাদের সচেতন করা জরুরি বলে মনে করছেন কৃষিবিদসহ বিশিষ্টজনেরা। একই সঙ্গে এসব তথ্যবার্তা তৃণমূলসহ সর্বস্তরের কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে গণমাধ্যমে তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা জরুরি বলেও কৃষিবিদরা মন্তব্য করেছেন।
কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উনড়বতকরণ প্রকল্পের আওতায় গত বৃহষ্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সাংবাদিক অবহিতকরণ কর্মশালায় এসব মন্তব্য করেন তারা। বক্তারা বলেন, বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা প্রথম সারির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। কর্মশালার শুরুতে কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উনড়বতকরণ প্রকল্পের বিভিনড়ব দিক তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ শাহ কামাল খান।
তিনি বলেন, কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উনড়বতকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের সচেতন করতে তাদের কাছে আগাম কৃষি আবহাওয়ার তথ্য পৌঁছাতে চায় সরকার। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য- আবহাওয়া এবং নদ-নদীর সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কিত উনড়বতমানের এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য কৃষকের কাছে পৌঁছানো এবং এ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের উনড়বত পদ্ধতি ব্যবহারে ডিএই’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, বিরূপ আবহাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব কৃষকদের জানাতে পারলে প্রতিকূলতা থেকে ফসল রক্ষা করা এবং অনুকূল আবহাওয়াকে কাজে লাগিয়ে উৎপাদন খরচ কমানোর পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। সে কারণেই বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. বেনজীর আলম। সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক হাবিবুর রহমান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইং এর পরিচালক দিলীপ কুমার অধিকারী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও এগ্রিকালচারাল রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো. আশরাফ আলী, এসএ টিভির বার্তা প্রধান মাহমুদ আল ফয়সাল প্রমুখ।