Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১৬৮৫, হার ১২.১৮ শতাংশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০২২, ৫:২৭ পিএম

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। ফলে দেশে মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৩৫ জনই রয়েছে। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৬৮৫ জন। এ নিয়ে দেশে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৯ লাখ ৬২ হাজার ২১৩ জনে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ১৮ শতাংশ।

আজ শুক্রবার (২৪ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এরআগে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ২৪ ঘণ্টায় ১ জনের মৃত্যু এবং এক হাজার ৩১৯ জন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওইদিন নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৮৫০টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৩ হাজার ৮৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ১৮ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এদিকে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৮৫ জন। এ নিয়ে মোট ‍সুস্থ হওয়া রোগী বেড়ে দাঁড়ালো ১৯ লাখ ছয় হাজার ৪১৭ জনে। একদিনে শনাক্ত ১৬৮৫ জন রোগীর মধ্যে ১৫১১ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। আর ঢাকা বিভাগের জেলা নারায়ণগঞ্জে ২৮ জন, গাজীপুরে ১৩ জন, শরীয়তপুরের ১৫ জন, রাজবাড়ী ও নরসিংদীতে ছয়জন করে এবং ফরিদপুর ও কিশোরগঞ্জে একজন করে শনাক্ত হয়েছেন।

এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন, চট্টগ্রামে ৭১ জন, রাজশাহীতে আটজন, রংপুরে একজন, খুলনায় একজন, বরিশালে ১০ জন ও সিলেটে তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের দাপট শিথিল হয়ে আসায় গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে দেশে সংক্রমণের হারও কমতে থাকে। এরই ধারাবাহিকায় গত ২৬ মার্চ দৈনিক শনাক্ত একশোর নিচে এবং ৫ মে তা আরও কমে ৪ জনে নামে। তবে গত ২২ মে’র পর থেকে সংক্রমণ আবারও ঊর্ধ্বমুখী রূপ নেয়।

গত ১২ জুন দৈনিক শনাক্ত ১০০ ছাড়ানোর মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় তা আরও বেড়ে ৮০০ ছাড়িয়ে যায়। এরইমধ্যে মঙ্গলবার দেশে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপ-ধরন শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক। নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টটির নাম দেওয়া হয়েছে বিএ.৪/৫। বাংলাদেশি দুজনের শরীরে সাব-ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত হয়েছে। যাদের একজনের বয়স ৪৪ বছর এবং অন্যজনের ৭৯ বছর। নতুন উপ-ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের একজন করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ এবং অন্যজন দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন হাসপাতালে, অন্যজন বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ