Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট অঞ্চলে এখনো অচল ৫৫১টি সাইট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০২২, ১২:০৮ এএম

প্রবল বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে ভয়াবহ বন্যা দেখছে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণাসহ বেশ কয়েকটি জেলা। বন্যা শুরুর পর থেকেই বন্যাকবলিত এলাকায় বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগসহ সকল ধরণের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিপাকে পড়েন বন্যার্ত মানুষেরা। বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একে অপরের সাথে যোগাযোগও। ওই অঞ্চলে বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও এখনো বন্যা কবলিত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৬ জেলায় স্বাভাবিক হয়নি টেলিযোগাযোগ সেবা। এসব জেলায় ৪টি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির প্রায় দেড় হাজার সাইট পুন:সচল করা হয়েছে। অচল আছে ৫৫১টি সাইট।

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) পক্ষ থেকে বলা হয়, বন্যা শুরু হলে পুরো বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত সাইটগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় এসব সাইটে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ। এছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কোনভাবেই এগুলো সচল রাখা সম্ভব ছিল না। তবে পরবর্তীতে যেসব এলাকায় বন্যার মধ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে সেগুলোতে ব্যাটরির মাধ্যমে সচল রাখা হয়। কিন্তু সেটিও দীর্ঘ সময় অসম্ভব ছিল।

মোবাইল অপারেটরের এক কর্মকর্তা বলেন, হঠাৎ করে একসাথে এতোগুলো সাইট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তা ব্যাকআপ দেয়ার মতো যন্ত্রাংশ কোন অপারেটরের হাতেই ছিল না। এছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় ব্যাটারি দিয়ে মাত্র ২৪-৪৮ ঘণ্টা ব্যাকআপ দেয়া সম্ভব। চার্জ না হলে তা আবার অচল হয়ে পড়ে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, সুনামগঞ্জ, সিলেট, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ এবং মৌলভী বাজারে বন্যার কারণে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের মোট ৩ হাজার ৬শ’ ১৭টি সাইটের মধ্যে ২ হাজার ৬টি সাইট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এক হাজার ৪শ’ ৫৫টি সাইট পুনরায় সচল করা সম্ভব হয়েছে। অবশিষ্ট ৫শ’ ৫১টি সাইট দ্রুত সচলের লক্ষ্যে কাজ চলছে।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এ সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ইন্টারনেটসহ টেলিযোগাযোগ সংযোগ স্থাপনের জন্য সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ১২টি ও বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আরও ২৯টি ভিস্যাট স্থাপনে কাজ করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সিলেট হাইটেক পার্ক, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজ, গোবিন্দগঞ্জ, দোয়ারা বাজার, দিরাই ও গোয়াইন ঘাটে ৭টি ভিস্যাট হাব স্থাপন সম্পন্ন করেছে।

অপরদিকে, বিএসসিএল’র উদ্যোগে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সিলেট সদর উপজেলা কার্যালয়, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বাংলো, বিশ্বরামপুর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা কার্যালয়, জৈন্তাপুর, ছাতক, জগন্নাথপুর, দিরাই, দোয়ারা বাজার এবং জামালগঞ্জ ১৩টি ভিস্যাট হাব স্থাপন সম্পন্ন করা হয়েছে। বিএসসিএল নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভিস্যাট হাব স্থাপন সম্পন্ন করেছে।

এদিকে সিলেটের গোয়াইন ঘাট এবং কানাইঘাট উপজেলা বাদে জেলার সকল উপজেলায় বিটিসিএল’র ল্যান্ডফোন সচল রয়েছে। বিটিসিএল হবিগঞ্জ জেলার টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করেছে। সুনামগঞ্জে জেনারেটর স্থাপনের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলা সদরের টেলিযোগাাযোগ ব্যবস্থা সচল করেছে। এছাড়াও জামালগঞ্জ, পাগলা, বিশ্বম্বরপুর এবং তাহেপুর উপজেলায় ল্যান্ডফোন ব্যবস্থা চালু রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ