পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাটহাজারী মাদরাসার পরিচালক, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া (বেফাক)-এর সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পক্ষ থেকে ৯ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করেন। দু’ঘণ্টাব্যাপী এই সাক্ষাতে প্রতিনিধি দল শাহ আহমদ শফীর একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীর নিকট হস্তান্তর করেন। চিঠিটি পড়ে শোনান প্রতিনিধি দলের সদস্য মাওলানা আনাস মাদানী। এতে মূল বক্তব্য ছিলÑ আট মূলনীতি অক্ষুণœ ও সম্পূর্ণ সরকার নিয়ন্ত্রণমুক্ত রেখে কওমী শিক্ষা ও দাওরায়ে হাদীস, ইসলামিয়াত ও আরবি সাহিত্যকে এমএ’র মান দেয়া। চিঠিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল সিলেবাস, শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইনের খসড়া সংশোধনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়।
প্রধানমন্ত্রী চিঠির বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং কওমী মাদরাসার স্বীকৃতি দানের আগ্রহ প্রকাশ করেন। সিলেবাসের আপত্তিকর বিষয়গুলোর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এগুলো আমার নজরে আছে এবং এগুলো সংশোধনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি জঙ্গিবাদের বিষয়টি উত্থাপন করে আলেমগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এ দেশকে ইংরেজমুক্ত করার ক্ষেত্রে কওমী মাদরাসা ছিল সূতিকাগার। সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন এবং আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহ। বৈঠকে বেফাকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আশরাফ আলী, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম, মুফতি নুরুল আমিন, মাওলানা আনাস মাদানী ও মাওলানা মুনির আহমদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।