পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে রিটটি ফাইল করেন অ্যাডভোকেট মো:আসাদ উদ্দিন। রিটে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব,বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়েছে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এসএম মুনিরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চে রিটের শুনানি হবে বলে জানান এই আইনজীবী।
এর আগে গত ৩১ মে অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন গেজেট প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে বিবাদীদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় দায়ের করা হয় এ রিট।
রিটে উল্লেখ করা হয়,কাজী নজরুল ইসলাম মৌখিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে পরিচিত হলেও দালিলিকভাবে রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি নেই। বলা হয়ে থাকে, ১৯২৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর কলকাতার আলবার্ট হলে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে সর্বভারতীয় বাঙালিদের পক্ষ থেকে কবিকে জাতীয় সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।সেই থেকে মুখে মুখে তিনি জাতীয় কবি। কিন্তু আজ পর্যন্ত সরকারিভাবে তাকে ‘জাতীয় কবি’ হিসাবে ঘোষণা করে কোনো প্রজ্ঞাপন বা গেজেট প্রকাশ করা হয়নি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।কারণ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি কোনো মৌখিক বিষয় নয়।
রিটে আরও বলা হয়,স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবিকে বাংলাদেশে আনা হয়।বসবাসের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ধানমন্ডিতে তাকে একটি বাড়ি দেয়া হয়। বাংলাসাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডি-লিট উপাধিতে ভূষিত করে।এরপর ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়ে সরকারি আদেশ জারি করা হয়। ১৯৭৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তাকে ‘একুশে পদক’ দেয়া হয়। সবকিছুরই ছবি, তথ্যসহ লিখিত দলিল আছে। কিন্তু নির্মম সত্য এটিই যে, ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে সরকারি ঘোষণার কোনো লিখিত দলিল বা প্রমাণক নেই। বাংলাদেশের দু’টি আইনে জাতীয় কবি হিসেবে নজরুলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বিভিনড়ব সরকারি আয়োজনে তাকে জাতীয় কবি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু সবই পরোক্ষ স্বীকৃতি। এমন স্বীকৃতি কালের বিবর্তনে মুছে যেতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।