চাকরি রক্ষায় মানববন্ধন, অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন মৎস্য অধিদপ্তরের ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পের ৫১২ কর্মচারী। আজ বুধবার আন্দোলনের টানা ২৮তম দিনে আন্দোলনকারীরা বলেন, ৩০ জুন যেন আমরা চাকরি না হারাই, সে বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিন। মৎস্য অধিদপ্তরের ইউনিয়ন প্রকল্পের কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুস সালেকিন বলেন, সাত বছর চাকরি করার পরও আমাদের রাজস্বকরণ হয়নি। ৫১২ জন কর্মচারী আইসিটি ও সম্প্রসারণ কাজে খুবই দক্ষ।
তিনি বলেন, আমাদের অধিদপ্তরের সাবেক ২ মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ ও রাশেদুল হক চৌধুরী রাজস্বকরণের জন্য প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু কোনো মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেয়নি। পরিকল্পনা মন্ত্রী, ৭০ জন সংসদ সদস্য আমাদের জন্য ডিও লেটার দিয়েছেন। জেলা, উপজেলা মৎস্য অফিসাররা প্রস্তাব করছেন, কিন্তু অধিদপ্তর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
আন্দোলনরত নারায়ণগঞ্জ সদরের কর্মচারী হাসিনা আক্তার সুব্রা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনশনে থাকব। হয় আমাদের দাবি মানুন, তা নাহলে আমরা বিষ খাব। প্রধানমন্ত্রী একনেক সভায় ৬০০টি ক্ষেত্র সহকারী পদ রাজস্বখাতে সৃজনের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু মৎস্য অধিদপ্তর তা করছে না। ৩০ জুন যেন আমরা চাকরি না হারাই এজন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিন।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, আর মাত্র ১২ দিন পর আমাদের চাকুর শেষ হয়ে যাবে। আমরা কোথায় যাব। দীর্ঘদিন ধরে দেশের মৎস্যসম্পদ রক্ষা ও উন্নয়নে কাজ করেছি। কিন্তু আমাদের দীর্ঘ পরিশ্রমকে কেউ মূল্যায়ন করেনি। আমাদের নিয়ে কেউ চিন্তাও করছে না। আমরা অতিদ্রুত সমস্যার সমাধান চাই।মানববন্ধন ও অনশন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পরিষদের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান,
সাধারণ সম্পাদক মো. জসীম উদদীন, যুগ্ম
সাধারণ সম্পাদক রকিবুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ সুমন হোসেন। এছাড়াও আছেন সহকারী কোষাধ্যক্ষ মন্টু বৈদ্য, সদস্য ও খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি মো. শামীম রেজা, ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি মো. সুমন সরকার।