পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘আনোয়ার! আনোয়ার/ যে বলে সে মুসলিম/জিভ্ ধরে টানো তার’ কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার এই পঙ্ক্তি বার বার কানে বাজছে। মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস এবং পৈশাচিকতায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রাণ হারাচ্ছে; পুড়িয়ে দিচ্ছে বাড়ি-ঘর; ধর্ষিত হচ্ছে নারী। অথচ আমরা নীরব! বিশ্ববিবেকও নীরব। বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে যেন দায় শেষ করেছে জাতিসংঘ! নীরব মুসলিম বিশ্ব, মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি। হারাম শরীফের অভিভাবক শক্তিধর সউদী আরব নিশ্চুপ!
ফিলিস্তিনের কোনো মসজিদের বোমা হামলা ও শত শত ফিলিস্তিনীকে হত্যার প্রতিবাদে একটি ইহুদি গ্রামে আগুন জ্বললে আমেরিকার, ন্যাটো ‘মানবাধিকার রক্ষায়’ বোমারু বিমান নিয়ে মাঠে নামে? মধ্যপ্রাচ্য ইরাক, সিরিয়াও একই অবস্থা। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে একজন ইহুদি নির্যাতনের শিকার হলে প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল শত শত মুসলিমকে হত্যা করে প্রতিশোধ নেয়। নানান ধর্মের মানুষের বসবাসের এই পৃথিবীতে মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষায় গঠিত হয়েছে ওআইসি। সংগঠনটির ৫৭ সদস্য দেশের মধ্যে ৫৬টি দেশই জাতিসংঘের সদস্য। প্রশ্ন হলো মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম হত্যাকা-ের প্রতিবাদে ওআইসি কি কোনো ভূমিকা রাখছে? পৃথিবীর দেশে দেশে জাতি-গোষ্ঠী, ধর্মীয় গোষ্ঠীর দাঙ্গা ঠেকাতে ‘শান্তি রক্ষায়’ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী ওইসব দেশে কাজ করছে। জাতিসংঘের হয়ে বর্তমানে আইভরি কোস্টে, লাইবেরিয়া, দক্ষিণ সুদান, কঙ্গো, সুদান, পশ্চিম সাহারা, মালি, লেবানন, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকসহ অনেক দেশেই বাংলাদেশসহ বহু দেশের সেনাবাহিনী, পুলিশবাহিনী শান্তি রক্ষায় কাজ করছে। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের সঙ্গে বৌদ্ধদের জাতিগত সংঘাত শত শত বছর ধরে চলছে। যুগের পর যুগ ধরে লাখ লাখ রোহিঙ্গা দেশছাড়া। যারা মিয়ানমারে রয়েছেন তারাও নিজ দেশে পরবাসী। প্রতি বছর জাতিগত সংঘাত-সংঘর্ষে মারা যাচ্ছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। মিয়ানমারের জাতিগোষ্ঠী বিরোধ ঠেকাতে জাতিসংঘ নিজস্ব বাহিনীকে পাঠানোর প্রয়োজনা মনে করছে না কেন? এ প্রশ্ন এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘের স্থানীয় সদস্য চীন অখুশি হবে সে ভয়েই কি মিয়ানমারে বিরোধ নিরসনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পাঠাচ্ছে না?
মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের শত শত গ্রাম জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে; চলছে শিশু হত্যা, জুলুম-নির্যাতন, নারী ধর্ষণ; অথচ রোহিঙ্গাদের হত্যাযজ্ঞ বন্ধে জাতিসংঘের অধিবেশন আহ্বান করার প্রয়োজন মনে করছে না মুসলিম দেশগুলো! ওআইসি’র নামে মুসলিম দেশগুলোর এটাই কি ঐক্যের নমুনা! দশকের পর দশক ধরে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে; জাতিগত দাঙ্গায় হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে; তারপরও জাতিসংঘ নীরব? মানবিক দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশের সীমান্ত খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। তাদের বক্তব্য রোহিঙ্গা মুসলমানরা চরম নির্যাতনের শিকার। মানবিক কারণে তাদের জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশের আশ্রয় দেয়া উচিত। ইউএনএইচসিআর-এর এ দাবি যৌক্তিক এবং মানবিক। কিন্তু বাংলাদেশের অবস্থাটা কেমন? ’৯১ সাল থেকে ৫ লাখের অধিক রোহিঙ্গা মুসলিমকে মানবিক কারণে বাংলাদেশ সরকার আশ্রয় দিয়েছে। সে সংখ্যা এখন দ্বিগুণ। ১৬ কোটি মানুষের ছোট্ট দরিদ্র এই দেশের পক্ষে আর কত বিদেশিকে আশ্রয় দেয়া সম্ভব? অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ এখনো দুর্বল। জাতিসংঘের আর্থিক সহায়তার তহবিল বিশাল। জাতিসংঘ হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে বিভিন্ন দেশের শান্তি মিশন ও নানা খাতে। তারা কি বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছে যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের তোমরা জায়গা দাও আর্থিক সব সহায়তা আমরা করবো? ১৯৯১ সাল থেকে বাংলাদেশ যে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে সে জন্য জাতিসংঘ কত অর্থ ব্যয় করেছে? প্রশ্নটা আসে স্বাভাবিক কারণেই।
পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে খ্রিস্টান-ইহুদি বসতিতে হামলা হলে সিএনএন, বিবিসিসহ পশ্চিমা মিডিয়াগুলোর ভূমিকা এবং সম্পাদকীয় নীতি আগ্রাসী হয়। কিন্তু রোহিঙ্গা মুসলিম আক্রান্তের পর মুসলিম দেশগুলোর প্রভাবশালী মিডিয়াগুলো? ইন্টারনেটের কারণে পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। সউদী গ্যাজেট, আরব নিউজ, খালিজ টাইমস, গালফ নিউজ, ডনের মতো বিখ্যাত মিডিয়াগুলোর অনলাইনের হোমপেজে যান; সেখানে মিয়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমাদের খবর তেমন পাবেন না। তারা ব্যস্ত আছেন নিজেদের বিলাসিতা, শানশওকত, উন্নয়নের ফিরিস্তি, মুম্বাইয়ের নায়ক-নায়িকার খবর আর ক্রিকেট খেলা নিয়ে। অথচ মুসলমান এবং মুসলিম বিশ্বের উচিত এ মুহূর্তে রোহিঙ্গা মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানো। কাজী নজরুলের ‘জিভ্ ধরে টানো তার’ পঙ্ক্তি এখানেই প্রাসঙ্গিক। মুসলমানদের রক্তখেকো নোবেল বিজয়ী অং সান সুচির সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বজনমত গড়ে তোলা উচিত মিডিয়াগুলোর। বিশ্বের মুসলিম সম্প্রাদায় কি তা করছে? ৯২ ভাগ মুসলমানের প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমরাও তো নীরব; দায়িত্ব শুধু পালন করছি প্রাণ বাঁচাতে আসা উদ্বাস্তুদের সীমান্ত থেকে নাফ নদীতে ফেলে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে। আর সন্ত্রাস বন্ধের নামে বিশ্বের দেশে দেশে সন্ত্রাস ফেরি করে বেড়ানো আমেরিকা? ওদের চোখে মুসলিমরা মানুষ নয়, সন্ত্রাসী। কাজেই ওরা রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার আছে সেটা বিশ্বাসই করে না। যেমন করেনি ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়ার মুসলমানদের বেলায়।
বর্তমানে মিয়ানমারের শাসন ক্ষমতায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। বৌদ্ধদের পঞ্চশীলের প্রথম শীল হলো, ‘প্রাণী হত্যা থেকে বিরত থাকবÑ প্রাণী হত্যা মহাপাপ’। মানুষ তো দূরের কথা কোনো কীট-পতঙ্গকেও হত্যা করা যাবে না এ বাণী প্রচার করে মহামতি গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, ‘জগতের সকল প্রাণী সুখী হউক’। সেই বৌদ্ধ ধর্মের মিয়ানমার সেনাবাহিনী মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর যে পৈশাচিকতা চালাচ্ছেন তা বৌদ্ধ ধর্মের চরম অবমাননা। রোহিঙ্গা মুসলিমরা কি প্রাণী নয়? শুধু মুসলমান হওয়ায় মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়া হচ্ছে না। ছোট একটি তল্লাশি চৌকিতে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যা, নির্যাতন ও শত শত বাড়ি-ঘরে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। গতকালও ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিকগুলোতে ছবিসহ ব্যানার হেডলাইন ছাপা হয়েছে, ‘নাফ নদীতে ভাসছে শত শত রোহিঙ্গা’ ‘প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নারী-শিশুকে নাফ নদীতে ফেরত পাঠানো হলো’ ‘রোহিঙ্গা মুসলমানদের ৮শ’ বাড়ি-ঘর ছাইভষ্ম হয়ে গেছে’ ‘রোহিঙ্গা মুসলমানদের যাকেই পাচ্ছে তাকেই হত্যা করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী’ ‘প্রাণ বাঁচাতে পঙ্গপালের মতো ছুটে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের দিকে’ ‘ধর্ষিত হচ্ছে শত শত রোহিঙ্গা যুবতী নারী’ ‘২০ নৌকা নাফ নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হলো’ ‘নদীতে ভাসছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা’ ইত্যাদি হৃদয়বিদারক শিরোনাম। এই যখন পরিস্থিতি তখন রোহিঙ্গা মুসলমানরা জান বাঁচাতে আশ্রয়ের খোঁজে সীমান্তে এসে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করলে তাদের ফেরত পাঠাচ্ছে সংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (বিজিবি)।
রোহিঙ্গারা মুসলমান। শুধু এই অপরাধে (!) পৃথিবীতে তাদের দুর্দশা নিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই? রোহিঙ্গা কিশোরীদের ধর্ষণের পর হত্যা করা হচ্ছে। কিশোর-শিশু-নারী-বৃদ্ধাদের বেঁধে পিঠিয়ে গায়ের চামড়া ছিলে কষ্ট দেয়ার পর কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পুুরিয়ে মারা হচ্ছে। ইন্টারনেটে এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তিনজন কিশোরকে উলঙ্গ করে বেত্রাঘাত করা হচ্ছে। তাদের গা দিয়ে রক্ত ঝরছে, গগনবিদারী চিৎকারে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। অথচ বৌদ্ধরা মেরেই চলছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় এক তরুণীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়ায় সে বাঁচার চেষ্টা করছে; অথচ লোকজন চতুর্দিকে দাঁড়িয়ে সে দৃশ্য ‘বানর খেলা’ দেখার মতো উপভোগ করছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এ ভিডিওগুলো সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। অথচ ওআইসি, মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বের দাবিদারেরা নীরব। পশ্চিমা দুনিয়ায় একটি কুকুরকে আঘাত করলে প্রতিবাদে দেশে দেশে বিক্ষোভ হয়। একটি বিড়াল ছানা যদি ড্রেনে পড়ে তো উদ্ধারের জন্যে পুলিশ আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে হাজির হয়। বিবিসি, সিএনএনের ক্যামেরা ক্রুরা ঘটনাস্থলে ছবি তোলার জন্যে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। রোহিঙ্গা বনি আদমরা ক্ষুধার্ত, ভীতসন্ত্রস্ত্র হয়ে, জান বাঁচানোর জন্যে নদী ও সাগরে নৌকায় ভাসছে। তারা কোন ধর্মের সে প্রশ্ন এখানে অবান্তর? যদিও মুসলিম হিসেবে সেটা অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা। মুসলিম হোক, হিন্দু হোক, বৌদ্ধ হোক, খ্রিস্টান হোক যখন তারা ক্ষুধার্ত এবং প্রাণ বাঁচানোর ভয়ে সাগরে ভাসতে থাকে; তখন যে কোনো রাষ্ট্র ও মানুষের চেতনা-বিবেক জাগ্রত হওয়ার কথা। রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে কেন তা হচ্ছে না? কারণ তারা মুসলমান এই জন্যে কি? মুসলিম রাষ্ট্র বা ইসলাম নিয়ে যে সব দেশ বিশ্ব অভিভাবকত্ব ফলাতে চান সেসব রাষ্ট্র কি এই মানবিক ইস্যু নিয়ে কিছু করছে? তারা কি মিয়ানমারে সংখ্যালঘু নয়? নাকি সংখ্যালঘু হলেই চলবে না তাকে অমুসলিম হতে হবে? ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের সংখ্যালঘু নাগরিকদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার পর আমাদের দেশের যেসব বুদ্ধিজীবী, সুশীল, পেশাজীবী, রাজনীতিক মায়াকান্না করছেন; চোখের পানি ফেলছেন; রোহিঙ্গা মুসলিমদের দুরবস্থায় চোখের পানি ফেলার মতো সামান্য পানিও কি তাদের চোখে অবশিষ্ট নেই?
পরিষ্কার জাতিগত হত্যাযজ্ঞ চলছে মিয়ানমারে। মংডু এলাকার দক্ষিণ, নয়াপাড়া, বমুপাড়া, মাঙ্গালাপাড়া, সম্মন্যাপাড়া, চারমাইল, হাদির বিল ও ঝুড়ারপাড়া এবং আকিয়াবের নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, মং লেংপাড়া, বাহারছড়া, ছাক্কিপাড়া, জালিয়াপাড়া, রোহাইঙ্গা ও ওয়ালিদপাড়া সম্পূর্ণ জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এসব ছাইভষ্ম গ্রামের ছবি প্রকাশ করেছে বিভিন্ন মিডিয়া। অথচ এ উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সর্বপ্রথম যে কয়টি এলাকায় মুসলিম বসতি গড়ে ওঠে আরাকান তার অন্যতম। রোহিঙ্গারা সেই আরাকানি মুসলমানের বংশধর। তাদের রক্ষার দায়িত্ব জাতিসংঘ, ওআইসি, বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠন এবং এই অঞ্চলের মুসলমানদেরও। মহামতি গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, ‘জগতের সকল প্রাণী সুখী হউক’ দীক্ষা নিয়ে যারা রোহিঙ্গাদের হত্যায় মেতে উঠেছে তাদের হাজারো ধিক্কার। চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব সোহেল রাখা গতকাল ফেসবুকে একটা স্টাটাস দিয়েছেন। তা হলো বিশ্বের কোথাও ‘হিন্দুদের কিছু হলে ভারত জ্বলে; ইহুদিদের কিছু হলে ইসরাইল জ্বলে; খ্রিস্টানদের কিছু হলে আমেরিকা জ্বলে; মুসলমাদের কিছু হলে মুসলিম বিশ্ব তামাশা দেখে; কত নির্লজ্জ আমরা হয়ে গেছি’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।