পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে আমৃত্যু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। আমাদের রাজনীতিবিদরাও কিছু আছে যারা দুদিকে সম্পর্ক বজায় রাখেন। গতকাল বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে কৃষক দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রেখে যে কোনো সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন দিতে পারেন। ষড়যন্ত্রের নির্বাচনে পা দিলে বিএনপির সামনে দুর্দিন। ১৯ সালের আগে নির্বাচন হবে না। তবে মাঝখানে যদি সুযোগ পায় রিনিউ করলে দোষের কি। পাশের দেশে গণতন্ত্র আছে অথচ আমাদের দেশে গণতন্ত্র থাকুক এটা তারা চায় না।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, যারা সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে দলে তাদের কদর যদি বেড়ে যায় তাহলে প্রকৃত নেতাকর্মীদেরকে দুর্দিনে কাছে পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে। দুর্দিনে যারা আপনাকে (খালেদা জিয়া) ফেলে যাবে না তাদের হাত-পা দুর্বল করে দিবেন না। যারা সুবিধাবাদী তাদের কথা শুনলে ক্ষতি হবে। একটু সতর্ক থাকেন। জীবনে অনেক কিছু শেষ হয়ে গেছে।
তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, যারা ভাইয়া ভাইয়া বলে ডাক পাড়ে তাদের থেকে দূরে থাকুন। কারণ এই ভাইয়াদের জন্যই আপনি অপদস্ত হয়েছিলেন। এবারও যেনো সেটা না হয়। তিনি বলেন, দলে এমন কিছু রাজনীতিবিদ আছেন যারা সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ করে আবার বিএনপিকেও খুশি রাখে। উভয় দলের সাথে তাদের সম্পর্ক। এসব শুনি তবে কোনো তথ্য নাই। সুবিধা নিতে গিয়ে যারা ভা-ার ভরছে তাদের ভা-ার যাতে খালি না হয় তাই তারা দুই কূলই রক্ষা করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, এই নির্বাচন খালেদা জিয়াকে রেখেও হতে পারে আর যদি তিনি আপোষহীন হন তাহলে তাকে বাদ দিয়েও হতে পারে। তাই আমি আহ্বান জানাবো খালেদা জিয়া যেন এসব চাটুকার মোসাহেবিদের থেকে সতর্ক থাকেন।
গয়েশ্বর বলেন, সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে এক ধরনের চাটুকার আছে যারা ভুল বুঝে অপপ্রচার চালান। ঘরে কথা বললে চাটুকার মহাশয়রা অসন্তুষ্ট হন। সুবিধাবাদীরা এত তৎপর যে তারা দেশে-বিদেশে অবারিত সুবিধা নেন। আন্দোলন কেমনে হবে সবাই ঘুরে পদের তদবিরে। ঐক্যবদ্ধ হতে পারলে শত্রু শিবিরে ধাক্কা দিতে পারব।
কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু’র সভাপতিত্বে এতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।