পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719388118](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে বার্মার (মিয়ানমার) প্রেসিডেন্টের সাথে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বার্মার সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছে ঢাকা; দেশটির অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক। গতকাল বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন জিএফএমডি’র প্রস্তুতি বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় তিন দিনব্যাপী গ্লোবাল ফোরাম ফর মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (জিএফএমডি) সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। এতে বিশ্বের ৭৩টি দেশের ২০জন মন্ত্রীসহ সরকারি-বেসরকারি প্রায় সাড়ে পাঁচশ’ প্রতিনিধি অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মতবিনিময়কালে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলমান উত্তেজনা বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে জানতে চাওয়া হলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি’র সঙ্গে একাধিকবার বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। আমি পাঁচ বার এই ইস্যুতে সমাধান খোঁজার জন্য মিয়ানমার সফর করেছি। অনুষ্ঠানে চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বেশিরভাগ প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে যা যা করা প্রয়োজন, সবকিছুই করছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিও মিন্ট থান্টকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে আমাদের বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছি। আরও যা যা করার আমরা করেছি। সাম্প্রতিক সংকট সৃষ্টির আগেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট এবং স্টেট কাউন্সিলরের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনায় রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীও এ ইস্যুতে কথা বলেছেন। আমি নিজেও পাঁচবার মায়ানমারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তার সবকিছুই খোলাখুলিভাবে আপনাদের (সাংবাদিকদের) জানানো সম্ভব নয়। আমরা সমস্যাটার মূলে সমাধান চেয়েছি।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এ ধরনের বাধ্যতামূলক স্থানান্তরের সঙ্গে নিয়মিত অভিবাসনকে মেলানো ঠিক নয়। নিয়মিত অভিবাসনে এভাবে ঘরবাড়ি ছেড়ে পরিবার নিয়ে কেউ পালিয়ে যায় না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে মায়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, জিএফএমডি’র সঙ্গে এ বিষয়টি মেলানো ঠিক হবে না। জিএফএমডি একটি বৈশ্বিক সম্মেলন, এ বছর যেটি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগের বছর তুরস্কে এবং আগামী বছর জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, এবারের জিএফএমডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে, বিশ্ব সম্প্রদায় অভিবাসন ইস্যুতে এখন একটি গ্লোবাল কমপ্যাক্ট প্রণয়ণে একমতে পৌঁছানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এটা বাংলাদেশের প্রস্তাবিত একটি বৈশ্বিক চুক্তি। এর মাধ্যমে অভিবাসন, শরণার্থী ও মানবপাচার বিষয়ক সমস্যার সমাধান খোঁজা হবে। ২০১৮ সালে বিশ্ব নেতারা এ চুক্তিটি অনুমোদন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এবারের জিএফএমডিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন ও তুরস্কের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় যুক্ত হচ্ছে। জিএফএমডি মূল সম্মেলনের আগে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা দুই দিনব্যাপী আলোচনায় অংশ নেবেন। এবারের সম্মেলনে কানেকটিভিটি ইস্যুকেও অভিবাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।