পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ব্যাংকিং খাতে বেড়েই চলছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর শেষে এ খাতে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম করছে। এ ছাড়া বাছবিচার ছাড়াই ঋণ অনুমোদন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার সর্বোত্তম পরিপালন এবং ঋণ আদায় কার্যক্রম জোরদারের কারণেই খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এতে ব্যাংকের তহবিল ব্যয় বাড়ছে। এখনই সতর্ক ও সচেতন না হলে
আগামীতে অনেক ব্যাংক অস্তিত্ব হারাবে। বিশেষ সুবিধায় নিয়মিত ঋণ আবারো খেলাপি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্টরা।
খেলাপি ঋণের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৈরি করা (জুলাই-সেপ্টেম্বর ’১৬) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, চলতি বছরের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে দুই হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা।
ফলে মোট খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। যা আগের প্রান্তিক জুন শেষে ছিল ৬৩ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা। তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর শেষে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। আগের প্রান্তিক জুন শেষে যার পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা।
ফলে গেল তিন মাসে এ খাতের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ বেড়েছে দুই হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এ সময়ে বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৬৯ কোটি টাকা। আগের প্রান্তিক জুন শেষে যার পরিমাণ ছিল দুই হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। ফলে গেল তিন মাসে এ খাতের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১১৩ কোটি টাকা। এ সময়ে বিশেষায়িত খাতের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ অপরিবর্তিত রয়েছে। যার পরিমাণ ছিল পাঁচ হাজার ৭৭ কোটি টাকা। তবে এ সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কমে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা। আগের প্রান্তিক জুন শেষে যার পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৭৭ কোটি টাকা। -ওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।