Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এমডিজি অর্জনে প্রতিশ্রুত অর্থ সহায়তা পায়নি বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে প্রতিশ্রুত বিদেশি অর্থ সহায়তার মাত্র ৪০ ভাগ পেয়েছে বাংলাদেশ। যে কারণে এমডিজির  ৩৩টি উপ-সূচকের মধ্যে মাত্র ১৩টি পুরোপুরি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
এমডিজি অর্জনে উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশে মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়ের (জিএনআই) শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ অর্থ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু উন্নত দেশগুলো তাদের কথা রাখেনি।
গতকাল ঢাকার শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস (এমডিজি ২০০১-১৫)’-এর চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশকালে এসব তথ্য জানানো হয়। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল ইসলাম অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
প্রতিবেদনে আরও উঠে আসে, সাধারণ প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ অর্জনে প্রতি বছর বিদেশি অর্থ প্রয়োজন ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। উচ্চ প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮ শতাংশ অর্জনে প্রতি বছর বিদেশি অর্থ প্রয়োজন ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু ২০১৩-১৪ অর্থবছরে পাওয়া গেছে মাত্র ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, আর এটাই সর্বোচ্চ অঙ্ক। যে কারণে এমডিজির অনেক লক্ষ্য সেভাবে অর্জিত হয়নি।
তারপরও বিদেশ থেকে পাওয়া অর্থ এবং দেশি সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করে এমডিজির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যটি অর্জিত হয়েছে। ২০১৫ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ২৯ শতাংশে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল। বাংলাদেশ এ সময়ে দারিদ্র্যের হার ২৪ দশমিক ৮ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। এর পাশাপাশি শিক্ষা, লিঙ্গবৈষম্য, শিশুমৃত্যু, মাতৃস্বাস্থ্য, রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে রাখা, টেকসই পরিবেশ সৃষ্টিতে বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মডেল বলে মনে করছে জিইডি। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এক সময় আমাদের সুন্দরবনের আয়তন ছিল ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটার। এখন কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ বাংলাদেশে এবং ৪০ শতাংশ ভারতে। উন্নত দেশের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে দায়ী যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ব্রাজিল ও জার্মানি। এসব দেশের কারণে আমাদের ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে। অথচ সেভাবে আমরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছি না।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, সব ক্ষেত্রে আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। আমরা দেখছি, শেয়ার বাজার থেকে খুব বেশি বিনিয়োগ হচ্ছে না, এটি শুধু ব্যাংকনির্ভর। বিনিয়োগে যে সব বাঁধা আছে তা তাড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশি সম্পদ আহরণে আরও দক্ষতা বাড়াতে হবে। দেশি সম্পদ আহরণ বলতে অনেকে বুঝি রাজস্ব আদায়কে। কিন্তু এটি আমাদের ভুল ধারণা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি, বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ