পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় স্লােগান ‘জয় বাংলা’র প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে তাতে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ অন্তর্ভুক্ত করতে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্ট বারের ১১ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হারুন ভুইয়া এ নোটিশ দেন। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ সচিব,আইন সচিব এবং শিক্ষা সচিবকে নোটিশের ‘প্রাপক’ করা হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে আশু ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে-মর্মে হুঁশিয়ারি দেয়া হয় নোটিশে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জয় বাংলা এবং জয় বঙ্গবন্ধু স্লােগান একইসঙ্গে উচ্চারিত হয়েছে। একই স্পিরিট নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। দু’টি পৃথক কোনো স্লােগান নয় এটি।
এছাড়া ২০১৬ সালের ৩মে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে হাইকোর্ট প্রদত্ত রায়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের নেতৃত্বে তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক এবং অভিন্ন। এই দেশটি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র বাঙালির মুখে মুখে স্লােগান ছিল ‘এক নেতা এক দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লােগান আমাদের জাতীয় স্লােগান।
আরেক আইনজীবী ড. বশির আহমেদের করা রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই রুলে ‘জয় বাংলা’কে কেন জাতীয় স্লােগান হিসেবে ঘোষণা করা হবে না-সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছিলেন। ওই রিটে উল্লেখ করা হয়, জয় বাংলা হচ্ছে আমাদের জাতীয় প্রেরণার প্রতীক। পৃথিবীর ৬০টি দেশে জাতীয় স্লােগান রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য যে আমরা আমাদের চেতনার সেই ‘জয় বাংলা’ স্বাধীনতার এতদিন পরেও জাতীয় স্লােগান হিসেবে পাইনি।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে চলতি বছর ২ মার্চ ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লােগান স্বীকৃতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।