পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে সারাদেশে ৩৯টি মামলা হয়। মামলাগুলোর মধ্যে একটিতে রায় হয়েছে। প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ, বিশেষ ক্ষমতা আইন, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন, মানি লন্ডারিং আইন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলাগুলোর মধ্যে ৩৯টিতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। বাকি তিনটি মামলার তদন্ত দেড় বছরেও শেষ হয়নি। এর মধ্যে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তিনি বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। ২০২০ সালের ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালায়। করোনা পরীক্ষা না করে ভুয়া সনদ প্রদান, রোগী বা রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া, বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা, সরকারের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, গত বছর ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতাল ও হাসপাতালটির প্রধান কার্যালয় সিলগালা করে দেয় র্যাব। হাসপাতাল থেকে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট জব্দের ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। ঘটনার পর থেকে সাহেদ পলাতক ছিলেন। ২০২০ সালের ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা থেকে তাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের কথা জানায় র্যাব। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে ডিবি সাহেদকে সঙ্গে নিয়ে ২০২০ সালের ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সাহেদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়। পরে সাহেদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক মামলা হয়। সারাদেশে তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৩। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকা মহানগরের ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় ২০২০ সালের ৩০ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছিল পুলিশ। ১৯ আগস্ট অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত। আর ২৭ আগস্ট সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সাহেদের বিরুদ্ধে ৩৯টি মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে র্যাব, থানা-পুলিশ, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার মধ্যে একটি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাহেদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনের একটি, চুরির অভিযোগে একটি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি মামলার তদন্ত এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি। এই মামলা তিনটি ২০২০ সালের আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে হয়েছিল। মানি লন্ডারিং ও চুরির মামলা তদন্ত করছে সিআইডি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটি তদন্ত করছে দুদক।
সিআইডির সেন্ট্রাল ক্রাইমের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, সাহেদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনের একটিসহ দুটি মামলা এখনো তদন্তাধীন। তদন্তে সাহেদের ৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা অপরাধলব্ধ আয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। করোনা পরীক্ষা না করেই সনদ দেয়া ও একটি প্রকল্পের বালু সরবরাহের কথা বলে তা না দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেন সাহেদ। মানি লন্ডারিং আইনের মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। শিগগির এ মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হবে। অন্যদিকে একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাহেদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা তদন্ত করছে দুদক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।